রবিন আহমেদ এর কবিতা
ঘেউ ঘেউ
আমাদের হত্যা করে পারবে কি শান্তিতে ঘুমাতে?
যতোবার মরদেহ ছুঁড়ে দিবে আবর্জনা স্তুপে
ততোবার ফিরে আসবো কথিত এই সভ্য নগরে
ঠ্যাং উঁচু করে দিবো মনুষ্যত্বে মুতে
একদিন ডাস্টবিন ভরে যাবে তোমাদের ভ্রুণে
ময়লা ভাগাড়ে থাকবে পরে বৃদ্ধরা
সরকারী মর্গ যাবে শকুনের দখলে
কবরস্হানের লাশ ছিঁড়ে খাবে শেয়াল
জলে ভাসবে বেওয়ারিশ সন্তান
দূর্গন্ধে ভরে যাবে শহর
কুত্তা নয় তোমাদের কামড়েই মৃত্যু হবে সেদিন
মানুষ- হে ঘৃণ্য জানোয়ার
কে দিয়েছে তোমাদের শহরের অধিকার?
কোথায় পেয়েছ আমাদের হত্যা আইন?
জেনে নিও কুকুরের কথা
আমরা আসবো আবার শীতের ভোরে
আমরা আসবো ভাদ্দর মাসের দিনে
তোমাদের ফুটপাতে, অলিতে গলিতে, জনবহুল রাস্তাতে
আমরা প্রকাশ্যে সঙ্গমে মিলিত হবো পথে পথে দারুণ উৎসাহে, সবাই একসাথে।
মানুষ শিকার
কোনো এক শীতে মানুষের বন্দুক চলে গেলো পাখিদের দখলে।
পাখিরা শিখে নিলো মানুষ শিকারের নিয়ম
চকলেট,বেলুন দিয়ে বানালো মানুষ ধরার ফাঁদ।
পরিযায়ী মানুষ সমুদ্রভ্রমণে আসলে ফাঁদগুলো
পাতা হলো সমুদ্রতীরে।
বন্দুকে ভরা হলো গুলি।
দলবেঁধে ঝাকে ঝাকে পাখিরা
ডানায় রাইফেল ঝুলিয়ে উড়লো আকাশে।
চারিদিকে অসংখ্য অতিথি মানুষ
পাখিরা নিশানা ঠিক রেখে ট্রিগারে চাপ দিচ্ছে-
মানুষের কপাল বরারব,
মানুষের বুক বরাবর,
মানুষের দম্ভের পা বরাবর।
গুলি ভেদ করে যাচ্ছে মানুষের মাথা
গুলি ভেদ করে যাচ্ছে মানুষের বুক
অসহায় মানুষের চোখে বাঁচার আকুতি
মৃত্যুভয়ে পালাচ্ছে প্রিয়জন রেখে
চিৎকার কোরে প্রাণভিক্ষা চাচ্ছে
আফছোস! পাখিরা মানুষের ভাষা জানেনা।
মানুষের বাচ্চারা-
বেলুন ওড়াতে গিয়ে ধরা পড়ছে
চকলেট খেতে গিয়ে ফাঁদে আটকে যাচ্ছে
চারিদিকে মৃত্যুর ফাঁদ
সারা আকাশে শিকারি পাখি
সমস্ত জমিন পাখিদের অধিকারে
পাখিরা হাসছে,
পাখিরা উড়ছে,
পাখির বাচ্চারা হাততালি দিয়ে উৎসাহ দিচ্ছে।
শিকারি মানুষ পাখির পায়ে,
শিকারি মানুষ পাখিদের বাজারে,
শিকারি মানুষের মাংস পাখিদের ঠোঁটে।
0 Comments