হোসেন রওশন এর কবিতা

 


এই মাদারের দেশে


এই মাদারের দেশে

আমাদের ঘর নেই ভাড়াবাড়ি থাকি

আমাদের গান কবার মাঠ নেই

গা শুকানো রোদ নেই

শহরের গ্রীল নেই

অসুখের রং নেই

প্রেমিকার ঠোঁট নেই

পা আছে ফুটপাত নেই

অসময়ে গলা ছেড়ে করি ডাকা ডাকি।

.

দেখো বাইঞ্চোদের দল

আইন চোদাতন্ত্রের উপর

আমাদের ঠাপ মারে সকাল বিকাল,

ঠাপ খাই বাপ ডাকি

পোদের ব্যথায় তবু বাড়িয়ে দেই গাল।

.

এই মাদারের দেশে

রোদ হয় বারো মাস

শুকোয় না গোয়ামারা ক্ষত,

গভীর শীতের রাতে

আমাদের বুক চুষে

ওরা পাছা মারে অবিরত।

 

.


দিকে দিকে মাদারের জয় ধ্বনি ডাক

আগুনে যাচ্ছে পুড়ে বেজি আর শাপ

জয়ের নামতা পাঠে গরুদের ক্লাস

দিনে দিনে হচ্ছে ইডিট সেলফির ফ্লাশ।

.

পুড়ে গ্যালো চামারের স্বপ্নের জুতা

পুড়ে গ্যালো পা চাটার বোতামের সুতা

পুড়ে গ্যালো এতিমের জমে থাকা ধন

পুড়ে গ্যালো ছাত্রীর সাদা এপ্রোন

পুড়ে গ্যালো সংসারের হাল টানা গাভী

পুড়ে গ্যালো তাড়াতাড়ি ঘরে ফেরা দাবি

পুড়ছে এখনো দ্যাখো আমাদের বুক

পুড়তে দেখছি আমি ব্যথার অসুধ।


অথচ লোক মুখে নেই কোনো রাগ

সকলেই খাচ্ছে আজো মায়ের সোহাগ

গোঁয়া কার মারা হলো নেই কোনো দিশা

জমিন বেচিয়ে কিনে কানাডার ভিসা


মাদারের দেশে মোরা চেতনার লোক

কতো লোক মারা হলো, করি না' শোক,

তব নাম জপি মাগো কলবে দ্বিগুন

ভাতের বদলে খাই গুলি আর আগুন।

 

৩.

মমতাময়ী মায়ের নামে আরম্ভ করিলাম


যেন নূহের নৌকা নিয়া আসিয়াছো মা

ভেসে যায় সব ঘরবাড়ি

তোমার নৌকাতে যে উঠিলো না

ভুলেছে তোমার তরবারি। 

তাদের পঁচা বুকে বসাও সিমার

ভ্রষ্ট কীটের যতো দল

তারা কি ভুলেছে মাগো

                       তোমার আদর?

তোমার তিস্তার জল!


তোমার গুণী নাম স্মরি,

তোমার হাতেই মাগো অন্নের থালা

তোমার হাতেই জপ ঘড়ি।

তবুও বোকারা দেখ কি দারুণ ভুলে

তোমার নামেই রটে দেনা

তুমি তো নিয়াছো মাগো তাহাদের কোলে

মীর জাফরেরা বুঝলোনা। 


হরিজন হে,

মাদারের নামে করো জপ। 

মা বিনে গতি নেই এই বাংলাতে

মিছে কেন করো কলরব.?

আমরা তো মূর্খ নাদানের দল

মাকে করি মিছেমিছি ছোট

মা যদি ক্ষেপে গিয়ে দেয় অভিশাপ

দিতে পারবোনা আর ভোট ও।

তাই বলি মাকে নিয়ে যতো পারো গাও

গাইতে দাও সকলেরে

নেকি হবে দুইপারে যদি তুমি চাও

জান নিয়ে তবে যাবে ফিরে।

 

 

Post a Comment

0 Comments