পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। সামনে আগাতে হবে নয়তো দেয়াল ভাঙতে হবে। প্রতিবাদের দীর্ঘ পথে হেঁটে হেঁটে আমাদের প্রচেষ্টা এখন প্রতিরোধের। যুগের জরায়ু ভেদ করে কখনো কখনো ইতিহাসের রক্তাক্ত পৃষ্ঠায় জেগে ওঠে তাই প্রকৃত চৈতন্য। চেতন আর অবচেতন—মুক্তি অথবা মৃত্যু কিংবা শোষণে নিষ্পেষিত শাসিতের চিৎকার। এইজন্য প্রতিটা মৃত্যুই আমাদের শিক্ষা দেয় নতুন করে বেঁচে ওঠার।
শ্বাপদসংকুল প্রতিটা বদ্বীপে অজস্র ফুয়েল ছড়িয়ে যায় সেইসব সন্তানেরা—তাইতো জেগে ওঠে পুনরায় প্রতিটা আত্মা।
দুনিয়ার সকল নিপীড়ন ও শোষণের বিরুদ্ধে আমাদের এই শ্রদ্ধাঞ্জলি, পরমের আরতি।
গেট আপ গেট আপ
"শশ্মানে কবরে ঘুম জাগাও জাগাও"
সাকিব শাকিল
সম্পাদক-শব্দ মিছিল
------------------------------------------------------------------------------------------------------
তোমার বুলেট তোমাকেই ফিরিয়ে দেবো
সাদিক আল আমিন
তোমার লাঠি, গ্রেনেড, টিয়ারশেল, ইটপাথর
এই রক্ত-মাংস দিয়েই রুখে দেবো
তোমার অনাচার তোমাকেই ফিরিয়ে দেবো
আমার ভাইয়েরা খালি পেটে গুলি খায়
আমি ভাত খেতে পারি না -
আমার গলা অগ্নুৎপাতের মতো জ্বলে যায়
আমার বুক চিরে স্বৈরাচার নেমে যায়
কাঁদতে চাইলে চোখে ঝরে রক্ত
বুকের ভেতর অস্ফুট হাহাকার
মরে তো গেছি সেই কবেই—তবু
নতুন মিছিলে আমরা ফিরবো আবার
রক্তের বিনিময়ে কী পাওয়া যায়?
আমার জানা নেই, আমি জেনে নেবো
তোমার বুলেট তোমাকেই ফিরিয়ে দেবো।
মুক্তির জন্য
পথিক রানা
এসো আমরা কলম ধরা হাতের পাশে
আরেকটি শক্তিশালী হাত বানাই,
যে সাহসী হাত পতাকা ধরে থাকবে
বিকৃত ছাত্র সংগঠনকে প্রতিহতের জন্য।
মনে হচ্ছে সত্যের পথে হাঁটার জন্য
দুটো পা এখন আর যথেষ্ট নয়,
এসো আমরা আরেকটা পা বানাই
অন্যায়কে বলিষ্ঠ লাথি মারার জন্য।
মনকে হতাশা থেকে বের করে আনো
ভয় পেয়োনা অধিকারের সৈনিক,
স্বৈরাচারী মগজকে ঘৃণা করার জন্য
এসো মনকে বিক্ষোভে সাজাই।
তোমার চোখকে কুকুর চিনতে শেখাও
চিনতে হবে চাটুকার বুদ্ধিজীবী শিক্ষক,
চোখকে আরেকবার স্বপ্ন দেখাও
স্বাভাবিক জীবন ও মৃত্যুর জন্য।
তোমাদের জিহবাকে প্রস্তুত করো
পর্যাপ্ত থুতু জমাও বর্ষণের জন্য,
শ্লোগানে বিদীর্ন করে দাও বাংলাদেশ
বাকস্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার জন্য।
অসময়ের প্রয়োজনে
আব্দুল্লাহ্ আল বাকী
আমাদের গায়ে আছে বারুদের গন্ধ
পথ হোক আরও যত দুর্গম, বন্ধুর
আমাদের সাথে যাবে মনোবল অস্ত্র।
ব্যারিকেড ভেঙে ফেল, লক্ষ্যে অটল হও
আছো যত ভাই-বোন সংগ্রামে এক হও
পিছে আর ফেরা নয় সম্মুখ সমরে
সেল আর বোমা গুলি আসুক না সামনে
ফিরিয়েই দেব সব ন্যায্যতা লড়াইয়ে।
মনে রাখো সেইসব নিষ্ঠুর চেহারা
নিশ্চুপ অসময়ে দিয়ে যায় পাহারা
চিনে নাও চিনে নাও বন্ধু বা শত্রু কে?
চিন্তায় জেগে ওঠা কপালের ভাঁজেতে।
রক্ত একদিন ফিরে আসবে প্রতিশোধের নেশায়
আল শাহরিয়ার সাজিদ
রক্ত একদিন ফিরে আসবে প্রতিশোধের দাবীতে
তারা রাজপথ রঞ্জিত করবে রক্তিম স্লোগানে।
থমকে দিবে জীবন রোডে চলতে থাকা
তোমাদের অত্যাচারের স্টীমরোলারের চলাচল ।
চেপে ধরবে তোমাদের বেইনসাফের টুটি।
রক্তের সাথে তোমাদের হত্যাসূত্রে ঋণ
তোমাদের রক্ত নিয়েই তারা আদায় করবে দীর্ঘ সময়ে জমতে থাকা সেই ঋণ।
তোমাদের হৃষ্টপুষ্ট ভীনদেশী কুত্তার বাচ্চার মতো চর্বিযুক্ত কিউট চেহারায়-
রক্তের কড়া লাল দাগে একে দিবে ঘাতকের চিহ্ন।
ইতিহাসের দূরবীনে চোখ রেখে দেখেছি
রক্তস্নান সম্পন্ন করে বিজয় আসে।
হ্যাঁ অপেক্ষা কর রক্ত এনে দিবে বিজয়ের সেই আগমনী মাহেন্দ্রাক্ষণ!
রক্ত একদিন ফিরে আসবে প্রতিশোধের নেশায়!
প্রতিশোধের নেশায়!
প্রতিশোধর নেশায়!
রিফিউজাল
তানহিম আহমেদ
(উৎসর্গ - ফেদেরিকো গার্সিয়া লোরকা, অগ্রজ)
তুমি সংকটকালের নিউজপেপার
শিরোনামের মতোই অগভীর
তোমার সঙ্গে আমি বন্ধুতা করবো না।
তোমার হাতে সন্তানের রক্তের ছাপ স্পষ্টতর হয়ে উঠেছে লেডি ম্যাকবেথ
তোমার সঙ্গে আমি বন্ধুতা করবো না।
ধৃতরাষ্ট্রের উত্তরসূরীরা অগ্রসর হচ্ছে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র নিয়ে
স্বজনের রক্তে তারা মাতবে হোলিউৎসবে
সাঁজোয়া বাহিনীর কর্ডনে তুমি আত্মগোপন করেছো
তোমার সঙ্গে আমি বন্ধুতা করবো না।
তুমি গণরোষের সম্মুখে কাঁপছো থরথর
আমার পা আঁকড়ে ধরেছে ৫৬ হাজার বর্গমাইলের ঋণ
তোমার সঙ্গে আমি বন্ধুতা করবো না।
প্রতিশোধপরায়ণ হাওয়া আমাকে আটকে দিচ্ছে
গণভবনের সিংহ দরজায়
তুমি সম্ভব হলে নিরস্ত্র, দর্পমুক্ত মানুষী হয়ে এসো
শহিদের রক্তভেজা ঘাসের ওপর বসে
ফুলমতী, ঋতুমতী বৃক্ষতলে
একটি দাবি...
একটিমাত্র সরল দাবি নিয়েই আলোচনা
হতে পারে, “কবে তুমি ছাড়ছো তোমার জবরদখল?”
0 Comments