ভ্রমণ
ভ্রমণ তো কতই হয়, তোমার দিকে চলার মতন ভ্রমণ
ভ্রমণ তো কতই হয়, তোমার দিকে চলার মতন ভ্রমণ
পৃথিবী আর কয়টা দেখেছে বল?
সকালের দিকে পাখিদের কত উচ্ছাস,
উড়বো উড়বো বোলে চিলিক ফোঁটায়—
তাদের বোধহয় জানা নাই তোমার সারল্যের কবিতাখানি আসলে কতটা জটিল!
একবার যেতে চেয়েছিলাম নির্বাণ নির্বাণ হাওয়া খেতে,
ওপথে হাঁটার আগেই দেখি বন্ধুর বাইম মাছ ঘুরছে— মানুষের হারামিপনা এত বেশি যে
বন্ধুর নেংটিটাও ছাড়ে না, চান্দে তোলে চু...চুরমার কোরে!
শেফালিদের পথের গলির দিকে যেতে যেতে
বেখাপ্পা কবিতার দিকে হেঁটে গিয়েছিলাম।
সেকি বিশ্রী গন্ধ সে পথ! তার চেয়ে শেফালির অবহেলা ভালো।
তখন 'সুরের দিকে হাঁটো বাউল, বেসুরো হইও না।'
বোলে কোনো পাগল যদি হেঁটে যায়, তাতে কোন কবিতামারানির আসে যায়?
এমন অসংখ্য হাঁটার গল্প আমি তোমার চোখের মধ্যে দেখেছিলাম,
বুকের মধ্যে দেখেছিলাম নিতম্বের সুডৌলতায়— কত শত ভ্রমণ তোমার ঠোঁটে লেগেছিল, তার সহস্র ক্রোশের আমি তো সাক্ষী
সেসব ছাড়ো, তোমার কবিতারা কয়টা ডিম দিল?
ওহহহ, স্তনকন্যাদের কুচকাওয়াজ থামেনি?
তবে যাও...ঘেঁটে আসো!
সময় কোরে একদিন ভ্রমণে বেরোনো যাবে—
তিলকের মতো ছেদ নিয়ে
তোমাদের শহর রক্তের বিনিময়ে করে সম্পর্ক।
সংহারক এই যাপন উবে দিবো কী তাই?
বরং ভালোবাসা দোগুনা হয়ে যায়—
তিলকের মতো ছেদ নিয়ে যদি দাঁড়াই তোমার সামনে,
তিলকের মতো ছেদ নিয়ে যদি দাঁড়াই তোমার সামনে,
পচা আপেলের ঘ্রাণে কী করাবে স্নান?
এন্টিসেপটিকের সমাদর কিংবা
পেগ কয়েক ওয়াইনের উসকানি তো দিতেই পারো!
নাকি অজ্ঞাত লাশের ফুলচন্দনের অধিকার নেই?
বুঝেছি কালী, রক্তের ঘ্রাণ তোমার অমৃতের মতো মনে হয়। হোক।
তবু তো বিনয়ের কাছে মানুষ হার মেনে নেয়—
তুমিও কখনো সদ্য প্রসূত হরিণীর মায়ার দিকে হেঁটে যেও...
বহুদিন হয় মাছের মুখে কাদার বুদবুদ
কোনো নন্দনগাছের পাশে রোমান্স রোমান্স সুরে লিবিডো চমকায়,
বহুদিন হয় মাছের মুখে কাদার বুদবুদ
কোনো নন্দনগাছের পাশে রোমান্স রোমান্স সুরে লিবিডো চমকায়,
এমন সংকেতময় মূহুর্তে স্বচ্ছ ইশারা দিচ্ছে যৌবনফুল—তখন বড্ড তৃষ্ণা লাগে।আহা, বড্ড তৃষ্ণা লাগে! হোর রে রে রে হেইওওওও— জলতরঙ্গ, জলতরঙ্গ আমার বুকে ধাও,
নামায়েছি বঁধুর রূহে, প্রণয় ভাবের নাও—অতি পাঁকা পেঁকো না বাড়া, শুরুতেই ঝরে যাবে!
বর্ষার চুরুট চুয়ে যাচ্ছে নবনীতাদের ছাত ছুঁয়ে। কুহুক কুহুক কিরামি রে তোর, বাপের ভয় নাই?
বহুদিন হয় ওদের চিরকুটকুট তেঁতুল পাতায়
আলেখ্য এক সুর আছে— আছে অবদমন,
আমার শোক শোক অতিসংশয়
ওদিকে কেউ অতি অতি সাহস লিখে দেয়
মহামতি ব্যাঘ্র ব্যাঘ্র ঘ্রাণে হরিণের ঘাসে রক্ত লেগে যায়—মহামতি হরিণ হরিণ ঘ্রাণে সবুজ হত্যা হয়! তখন সত্য তখন বাস্তুসংস্থান!
ওদিকে কেউ অতি অতি সাহস লিখে দেয়
মহামতি ব্যাঘ্র ব্যাঘ্র ঘ্রাণে হরিণের ঘাসে রক্ত লেগে যায়—মহামতি হরিণ হরিণ ঘ্রাণে সবুজ হত্যা হয়! তখন সত্য তখন বাস্তুসংস্থান!
এমনই বোধের দিনে নবনীতাদের ঘরে পোড়া পোড়া ধুন, মহা গুনগুন!
বিষবাষ্পের হল্লা জাগে হক্কানিদের ভোরে...
যেদিন ঠাহর পাবার দিন, সেদিন ময়ূরের আঁচল ফাঁটা ছিল।
নৃত্যে ছিল ভাঙা ভাঙা প্রেম-শিকারী বীভৎস!
আজ টোটেমের মায়রে...জিগাইবো আজ,
সত্য আসলে সত্য কেন? সত্য কেন মিথ্যা না?
মিথ্যা যদি সত্যি হয়, সে মতও মিথ্যা না!
সত্য কী সত্যই তবে? নাকি মিথ্যা নামে নবনীতার বোন অহনা?
বহুদিন হয় খোঁজ পাই না। জলের সহজ কাব্য শেষে প্রেম ভাসানের ঋতু—সেই তো ঋতু কবেই শেষ।তবু নবনীতাদের মহল্লা আজ বিরান চরাচর...
যেন মাছের মুখে কাদার বুদবুদ—
0 Comments