শঙ্খচূড় ইমাম এর কবিতা

 

      অলংকরণঃ সাকিব শাকিল


এক.
 
টোল পড়া রাতে লেবু পাতা নড়ছে
দূরে রান্না হচ্ছে ডাহুকের মাংস
হৃদয়ে ধোঁয়া উঠলে এমন আয়োজন
খুব বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে যায়...
 
মা বলতেন, রাত বড় অসভ্য নীল নদ!
ফেরাউনের কী সুন্দর চোখ
লুট করে চুপ হয়ে বয়ে যাচ্ছে
মানুষের উত্তরহীন প্রশ্নে প্রশ্নে...
 
ভাবছি, যেকোনো নদী থেকে যেকোনো রাতেই
বৃষ্টি হতে পারে অপ্রাসঙ্গিক মাছের
মায়ের ছেলে বলেই
মাছ নিতে রাজি নই, এমন হয়ে গেলে
দিনের আলোতেই আয়োজন হবে
চোখের ড়ুইভাতি!
 
মাংস থাকুক অমন মাংসের বনে বনে...
 
দুই
.
 
তির তির করে নেচে যাওয়া চড়ুই
স্নানের ভেতর ঘুমিয়ে যাওয়া শামুকের দুঃখ নিয়ে
উড়ে যাচ্ছে পরিসংখ্যানে...
 
আলতা ভেসে যায়, খালি হাতের শৈশব জেনেও
চুতিয়া জ্যোৎস্না বাংলা ভাষায় আলো ফেলে
গণিতের মতো ভাগ হয়ে যায়
 
শালা চড়ুইয়ের বাচ্চা, শালা সূর্যের বাচ্চা
শালা আমি বাচ্চা
প্রত্যেককে জাগিয়ে তোলা সুন্দরের বাচ্চা...
তবু শ্বাস হয়ে, শাঁস হয়ে ফলকিয়ে যাচ্ছে নিজের ভেতর থেকে!
 

তিন.
 
সামর্থ্য থেকে অতিদূর সংকট
যোগাযোগের ভাষা সরে সরে আসে!
যেনোসন্ধান’ আনন্দ হয়ে ফুটে যাবে
ফিনফিনে বাগানে
 
কোনো এক ঋতু বিব্রত হয়ে কাঁদবে
যখন ফসল ফলবে, মানুষ মুখে তুলবে না!
 
চিনেজোঁকের মতো শ্বর আসবে, আর
আকাশ থেকে ঝরবে ঝরঝরে লবন!
 
 
চার.
 
শিশুর মুখে দেওয়া প্রথম ফলের মতো
বিচিত্র অই স্নেহের তরে
একটা ঘন বন গেঢ়ে আছে;
মনে এলেই ভাবিমানুষের পা 
মাটিতেই রয়ে গেলো
 
দারুণ ধুলো নাচে, যারে আমি ঝুলে আছো
চোখ টপকে শস্যের দায়ে
মেঘের সন্তানের মতো খুব বেশি দাঁড়িয়ে যায়!
 
তবু ফল ঝরে, ফল হয়
নতুন বন সামন্য সরে
ফিনিক্সের দুধেল আকাশে...
 
 
পাঁচ.
 
আমন রোপনের মৌসুমেই
আমাদের পাড়ায় পাড়ায় নেমে আসে
সুহৃদ আশ্বিন
তবু সবাই যেনো উৎসবে থাকে
গন্ধে
 
বন্ধুকে জিজ্ঞেস করি
কেমন যাচ্ছে রোপারোপি
বলেএই হাতে জাদু আছে
যেনো কাঁদামাটিতে জাগ দিয়ে যাচ্ছি
সাদা সাদা ভাত
 
আমরা অবশ্য সহহাঁটিএকই স্কুলের দিকে
সেবার বার্ষিক পরীক্ষায়
বন্ধু আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলো
কি লিখছো এতো!
 
বলিকাগজে কাগজে দেখি
সাদা ভাত শুয়ে আছে
তাই তাদের রঙ করে কারখানায় পাঠাতে
কাগজক্ষেতে রোপন করে যাচ্ছি
কাঁচির মতো বাঁকা গুচ্ছ গুচ্ছ প্রশ্ন
 

Post a Comment

0 Comments