দিপংকর মারডুকের কবিতা

  


১.

নগরের বাইরে দাঁড়ায়নি কখনো গ্রীলের সান্নিধ্য
তোমার শিকড়ে মেলেছি শিশুময় কণ্ঠস্বর
ক্ষুণ্ণ যুবক আমিদূর পাহাড়ে অবিনাশী
গতির সঞ্চার মেখে মেখে মোহনার দিকে ডাকি
কোথায় সতর্কীকরণ পুকুর বা কোথায় মাঘের উন্মেষ
নেই কোনো জলনদীখরাস্রোতের উত্তরাধিকার
তুমি ভাবো ঋতুচক্রসত্তার ধূলিঝড়ের আয়ু
বাতাসে আজ নির্ঘুম বিপন্নতা বিহান
গেরুয়া রোদের শীর্ণতায় ফুটেছে রক্তাক্ত মুকুল
তবু যেন আমি ওষ্ঠাগত নাগরিক নই
নিস্তেজ কুয়াশায় নিজেরে করেছি পথভুলে দেশান্তর
এমন তোমার নৈমিত্তিক সহজিয়া মনবুকের উত্তাপ
জেগে রাখি নিদ্রারোমন্থন শীতকরা অরণ্য
সে কোন শঙ্খমালায় পড়েছি অনেকবারবহুবার
যার গ্রীবায় উড়ে গেছে মধ্যাংশের খণ্ডিত চাঁদ

২.

খুলে দ্যাখো বৃক্ষের সাঁজোয়া রাত্রি
ঘিরে আছে বন্দরের করুণ রোল
চূড়ান্ত ইশারা থেকে আঙুরলতার গ্রামে আমি দাউ দা
যেন আমি তোমার জরায়ুতে নির্মম— দূর কোনো সুরের ছায়াপথিক
 
তুমি তো অদম্য উদ্ভিদের অঙ্কুরোদগমছিন্নমূল ভেঙে
ধ্বনিত হও নকশিপাথরের দুর্বৃত্ত অতীতে
সমুদ্রগর্ভ পেলে খণ্ডিত হয় আমার তৃষ্ণার্ত আঙিনা
আমি তোমার আড়াল বুঝি নাবুঝি না সন্নিহিত কোণ
যেখানে নেই কোনো পাখির বাক্যনগরের কঙ্কাল
তবু শান্ত তীরের হরফে হরফে 
আজ অবলুপ্তি তোমার দিকে হাহাকার
প্রতিদিন প্রতীক্ষায় যদিও যায় বক্ষস্তবকের অভিষেক
যার আছে শাসনমায়াল তৃণ কিংবা সংযোগদ্বীপের তুমুল সপ্তবর্ণ

৩.

তুমিও পুতে রেখেছো আমার পা ফেলার একই অবস্থা
সামনে তোমার শুয়ে আছে ইছামতিআধখানা নগর
যত ভয় এই মন্ত্রগাঢ় পাতার— আমি কি ভেবেছি
তোমার আবেশএতো যে তোমার নিমডালের সুর
দূরে গেছে নিঃশব্দ ট্রেনলাইন কোথায়?
কোথায় নতুন কলাবিদ্যারেখেছো তোমার তাৎপর্য
আমি তো নির্জনমরুর জলোচ্ছ্বাস
নিকষিত ভূখণ্ডে পুষে রেখেছি অমল ইঁদুরের ইতিহাস
 
যারা আজ ক্ষুধার্ত তোমার নিরুপম ভাদ্ররথে
এই দ্যাখো শূন্য নির্মাণের আগে আগে ভেদ করেছে 
শস্যের বাহারি গল্প
বাকি সব নিক্ষিপ্ত— তোমারই নতুন পালকে হিম
ভেঙে গেছে শত শত ঘুমের এলার্মনীল ব্যর্থতার পরাক্রম
আলো আর পথে পথে তোমাকে শুনাই সহস্র নাচঘর
 যেন বহুমরণ
অন্ধ বাদ্যেও উত্তরে তুমি জেলেছো নেহাত সুন্দরম্
 



Post a Comment

0 Comments