হিমাঙ্কের উচ্চারণমালা
বিস্ময়বিন্দু...
ই হিহি তা উচ্চারণ করো আর দেখো শীতভাব জেঁকে বসেছে শরীরে!
হিমঘ্রাণ প্রত্যাশী উন্মূল দূরত্বে নির্লিপ্ত ছায়ার অংশভাগী সে। মোমের ভাস্কর্য! নিজের ছায়ায় ভেঙে যায় জলমুকুর।
মেঘ ও মন্তাজ।
আগুনপোড়াসন্ধ্যা খুলছে পারস্যের গোপন গোলাপ...
বুকের অলিন্দে ছিমছাম বাজতে থাকে মেঘমল্লার রাগ ও বিপন্ন পদাবলী। অ-ব্যবহারিক শশবিন্দু নদীর নামে আঁকছে নিজের নাম। কত কত মনোভঙিমা হারিয়ে গেছে কমলঝরিয়ার গানে। ওই এই ম ম করা টান।
তার টুকরো টুকরো চৈত্রদাহ, বিন্দু ও বিন্দু ঘামটুপটাপ গতরের গল্পে শীতভাব উবে গেলে টিকে থাকে যে নাম, তার সর্বনামে চিৎকার ওঠে হি হি তা, ইহিতা ইহিতা!
ট্রামরেস আয়ুরেখাপথ
অঙ্কের গাড়ি—ধরো ১/ ২ /৩—তাদের ফাঁক গলে বেরিয়ে যাচ্ছে যে লাশবাহী এ্যাম্বুলেন্স, তার বাঁশি ও ধোঁয়াশাতোলপাড় রেসের মধ্যে একজোড়া চোখ।
একটি চোখ, ভাগীরথী
একটি চোখ, অলকানন্দা
দূর-সম্পর্কে বোন হয় তারা।
আর এক জীবনানন্দ মনখারাপের ট্রামের নিচে আইসবার্গের মতো নিজেরই ভঙ্গুর মাথা ফেলে রেখে তিতিক্ষায় আছেন।
তিনশত ষাট ডিগ্রী ঘুরে এসে ফের-আবার দেখা দিলো নিজের ডেডবডি। ওখানে কলির কৃষ্ণ, তার বাঁশি ও সুরসঙ্গমে বিভোর হলে, বসন্ত অধরাই রয়ে যাচ্ছে আজ!
দশা এই—দীর্ঘশ্বাসে জড়ানো বিষাদের নখে-বুকে রক্তের দাগ! দহন ও দংশন হতে পারে মৃত্যুর যথার্থ বিকল্প সঙ্গীত
কৃষ্ণের বাঁশিটি হাতে ধরে ফিরে যাচ্ছিলাম হাতের মসৃণ আয়ুরেখা ধরে। আর কোন বিকল্প মানচিত্র থাকলে বলো।
অ|লিখিত জলের মাদল
এবং রাজকীয় এপ্রোন পরা প্রস্থান নিয়ে কার প্রচ্ছদ আঁকো?
কাহারবা ও কার বা যাবতীয় শয্যা-কলা অঙ্গে নিতম্বে ষদুষ্ণ জলসঙ্গম
কালোতিতিরের কম্পিত কোরাস স্বাক্ষর রাখছে নগ্ন ও হিমমগ্ন সমুদ্রের
অ|লিখিত জলের মাদল
শ্বেত বামনের শ্যাডো। দৃশ্যরা জমানো ঝিনুকফুল! তরঙ্গতত্ত্ব শুনতে পাচ্ছো কী!
শরীরের ভাগ ও ভূ গোল
যে ভূগোলে পর্যটকের মতো বেড়াতে গিয়েছো রেলিং দেওয়া গ্যালারিতে।
পোশাক ফেটে বেরিয়ে পড়া খাঁজ কাটা ভাঁজ ও ভাস্কর্য
যেখানে তরতাজা শব্দের ঝংকার
আনত বিনত আদ্র স্থানের ঘাসের ডগায় ঠোঁটোগ্রাফ আঁকে চর বিজয়!!
0 Comments