ডার্ক হ্যালুসিনেশন
কালের নাম কস্মিন—ফলে, ওই কালে, বৈকালে-সন্ধ্যায়, এমনকি রাত্তিরে, সঙ্গে ও নৈঃসঙ্গে, যাপনে কিংবা স্বপনে যত হ্যালুসিনেশন ঢুকতে পারে তারই তালিকা টাঙিয়ে রাখছি তলপেটে...
হ্যা লু সি নে শ ন স—
১. লিঙ্গ বদলেছে দলছুট আয়নাটি
২. নারীর জননাঙ্গে জন্মাইয়াছে পুরুষাঙ্গের চারা
৩. পুরুষ বিলুপ্ত, বিছানায় গড়াইতেছে খুবসুরত নারী!
আজ—কাজ বলতে এই, পূর্ণিমা রাতে, ডান ও বাম হাতে নিজেকেই ছানতে হবে খুব! জানতে হবে—আমিকে আড়াল করে কে আমি ছদ্মনামে আমারই ভেতরে বেঁচে আছে!
বন্ধ হোক, যাবতীয় চোখ। ক্ষতি কি, আত্মরতিকালে—নিজেই চুমাই যদি নিজেরই কপালে?
সেক্স আফটার ড্রিঙ্কিং
[তাই হইলো....। দুই পেগে নাই হইলো দুঃখ, তিন পেগে মুইছা গেল নাম। চার-পাঁচ-ছয় পেগে টইলা উঠলো পা, আন্ধারে বইলা উঠলো ঠাণ্ডা পুরুষাঙ্গ...]
হা, আহা হা হা হাসিরা গিলছে ঢকাঢক—জলশ্যাম্পেন এক দুই তিন পেগ খুশি না খোদখুশি পান করে উড়ে যাচ্ছে পানকৌরি শরীরের নাম।
শরীর মানে তো—মাংসভরা দাগ, দাগের নেপথ্যে কিছু দুঃখ। (দুঃখের বোনের নাম রঙধনু)। গ্লাস ভেঙে পানীয় আসছে আর ভাসছে দেহদৈর্ঘ্যের সমূহ প্রান্তর।
টলছে গা
টলছে পা
শুধু টলছে না যে, সে আরো শক্ত ও শক্তিশালী হয়ে আরোপ করতে চায় বীর্যবৃষ্টিস্নান।
তুমি, তোমার জঙ্ঘার মাটিতে গোপনে গর্ত খুড়ে আনো, রোপন করো সাড়ে ছ'ইঞ্চি বীরের পুরোটা শরীর।
জন্মাক এমন বৃক্ষছানা, যে কিনা শত পেগ গিলেও নির্বিকার দাঁড়িয়ে থাকতে পারে।
নাতিদীর্ঘ কবিতা
শৃঙ্গার
শৃঙ্গার করিবো মাতাল...
চিৎকার করি;
চিৎকার জড়ো করি—
একটা
দু'টো
একটা
দু'টো
চিৎকারের পর, তারা আসে...
তবলা ও তানপুরা
ঢাক-ঢোল
হারমোনিয়াম
হা—র—মো—নি—য়া—ম!
ফিরে আসে,
শবদেহ, চুম্বন, স্বর ও ব্যঞ্জনবর্ণ থেকে
উড়ে আসে সঙ্গীতসন্ধ্যা!
শৃঙ্গার করিবো কহিলাম...
শনিগাছ এলো
রবিগাছ এলো
বুধ ও বিষ্যুদগাছ এলো
সঙ্গে এলো অন্ধচোখ; সাদাছড়ি; বিলাপরত একশ' মৃত ঘড়ি!
সমস্ত শৃঙ্গার সঙ্গম অব্দি পৌছায় না—
মুমূর্ষূ রাস্তার গল্পে
শব্দহীন সাইকেল আসে;
পোষা কুকুরের মতো নির্ভয়ে
চুপচাপ
পার হয়ে যায় মন ও মন্দির।
(কানাই, একটি শরীর পেরোতে কতদিন!)
তা—র—প—র...
মেয়েলোক আসে; ফিরিয়ে দেই।
তা—র—প—র...
মেয়েলী মেঘের দলা
বৃষ্টির মধ্যে পুষ্প
পুষ্পের সঙ্গে গহনা
গহনার সঙ্গে ফের মেয়েলোক আসে।
[কে যেন সপ্তম শতাব্দীর মাঝামাঝি সিন্ধু নদের তীরে একটি উজ্জ্বল মেয়েলোক বপন করিয়াছিলো, আজ তাহার শাড়ী ও কাঁচুলি শৃঙ্গার করিতে আসিয়াছে।
আমি তাহাকেও ফিরাইয়া দিলাম।]
মাতাল, আমি শৃঙ্গার করিবো কাহাকে!
ঋণগ্রস্থ যত ইমারত
প্রমোদউদ্যানে নিঃসঙ্গ সন্ধ্যা
পোকায় কাটা সন্ধ্যা
বেড়ালে আঁচড়ানো সন্ধ্যা
পঁচা-গলা পরিত্যক্ত সন্ধ্যা
আর সার সার সড়কবাতির নিচে
আমি তবে সবটুকু পৃথিবীকে শৃঙ্গার করি আজ!
আ—চ—ম—কা...
ফাটা শরীর থেকে সুঁইগাছ মাথা তুললো
কথা বললো
জল খেতে চাইলো।
তার
সুঁই সুঁই কাণ্ড, পাতা সুঁই
সুঁই ফল
সুঁই ফুল
জড়িয়ে ধরে
কেমন রক্তাক্ত শৃঙ্গার করছি দেখো!
0 Comments