পুরুষতন্ত্রের ইতিহাস || ফরহাদ নাইয়া


পৃথিবীতে প্রচন্ড গরম। গ্রীন হাউস ইফেক্টে মানুষ হাস ফাস করতেছে। জীবাশ্ন জ্বালানিও শেষ। দুর্বল নারী জাতির অস্তিত্ব নেই পুরুষরা  এমনভাবে বিবর্তিত হইছে যেএখন তারা নিজেরাই নিজেদের পাছা মাইরা বাচ্চা উৎপাদন করতে পারে। নুনুর ভিতর দিয়া, পাছার ভিতর দিয়া যুবক বাচ্চার জন্ম দেয় তারা। সেসব বাচ্চারা বাইর হইয়া কাজ করতে শুরু করে। কারণ যন্ত্রের দিন শেষ। যন্ত্র চালানোর জন্য নাই কোন জ্বালানি। তাই যন্ত্রের মতো মানুষ দরকার। লালন বলছিলো কেবল শক্তিশালিরাই টিকে থাকে। তাই ধনওয়ালা পুরুষরাই টিকে আছে পৃথিবীতে। এবং তাদের নুনু এতো বেশি ফাংশনাল হইছে যে তারা নুনু দিয়াই সব কাজ করতে পারে।গরমে ধনের সাথে ফ্যান ফিট কইরা বাতাস খায়। ধনরে চাকু বানাইয়া ধন দিয়া শসা কাটে। এমনকি তারা খৎনাও করে ধন দিয়া অর্থাৎ ধন দিয়া ধন কাটে। ঘোড়ার চাবুক, দড়িলাফের দড়ি, মাছ ধরার ছিপ এমনকি শীতের সময়ে গলার মাফলার কিংবা জ্যাকেটের মতো সারা গায়ে পেঁচিয়ে থাকতে পারে। নিজের পাছা নিজেই মারতে পারে, দশ মাইল দুরের প্রেমিকের পাছা মারতেও এটা খুবি একটিভ থাকে। 

রবীন্দ্রনাথ  বলেছেন পৃথিবীতে শুধু শক্তিশালিরাই টিকে থাকে। ফলে পৃথিবীতে প্রণীদের মধ্যে ধোন ওয়ালা পুরুষ ছাড়া আর কিছুই নাই তাই বিভিন্ন প্রানীর বেশ ধইরা ধোনওয়ালা ব্যাডারা জলে স্থলে বিচরন করে একটা কৃত্রিম আনন্দের ভিতর থাকতে চাইতেছে। কিন্তু যখনি কেউ ঘোড়ার বেশ ধরতে যায় তখনি সে বিপদে পরে কারণ তার নুনু গিয়া আকাশের লগে ধাক্কা খায়। তিমি কিংবা স্যামন মাছের বেশ ধরলেও তারা বেশ ভোগান্তিতে পরে কারন মাছ হইয়া গেলেও তাদের নুনু তারা লুকাইতে পারেনা । সবচেয়ে মজা পায় তারা হাতি হইতে কেননা ধোনটা খুব দারুণ ভাবে শুরের মতো ব্যবহার করা যায় তখন। সবকিছু তারা এতো সংক্ষেপ করে ফেলছে যে তারা শুধু ভাত গাছ লাগায় ভাতের জন্য। রুটি কিংবা বার্গারও চাষ করে কেউ কেউ। গরুর দুধকে তারা এমন ভাবে পোষ মানিয়েছে যে দুধই দুধ দেয় এবং দুধের বাচ্চা হয়। বিরানি গাছে বিরানি হয় । রাজা সেই হয় যার ধন মঙ্গল কিংবা বৃহস্পতি গিয়ে ঠেকে। এসব রাজারা ধোনের ওজনে শান্তিতে হাটতে পারেনা। হাটতে গেলেই মেঘেরা ভয় পায়। চাঁদের কোনা কাঞ্চিতে ধাক্কা লাইগা ফাইটা ফুইটা যায়। এবরোথ্যাবড়ো ভাবে মহাশূন্যে ঝুলে থাকে চাঁদের টুকরা। চাঁদ ওঠে ত্রিভুজের মতো এবং কবিরা চাঁদকে শুধু ভ্যাজাইনার সাথেই তুলনা করতে পারে, কিন্তু তারা কখোনো ভ্যাজাইনা দেখেনি। এক কবির প্রবল ইচ্ছা জাগে সে সত্যিকারের ভ্যাজাইনা দেখবে, এই উদ্দ্যেশ্যে সে নিজেই নিজের পাছা মেরে  নুনুর ভিতর দিয়া এক বাচ্চা উৎপাদন করলো। ধন ওয়ালা বাচ্চা যেহেতু তাই সে জন্মাইয়া তার বাপের পুটকি মেরে দিলো । বাপ হতভম্ভ হয়ে গেল। তার হুট করে মনে হলো তার পাছাই তার ভ্যাজাইনা এবং সে তার নিজের ভ্যাজাইনা দেখার জন্য তার নুনুতে নিজের মস্তক স্থাপন করলো।                                             এই ঘটনা কবিতার ভিতর দিয়া তামাম দুনিয়ায় এমনভাবে চাউর হয়ে গেলো যে প্রতেক ধোন ওয়ালা পুরুষ তাদের আপন ভ্যাজাইনা দেখার জন্য নুনুতে মস্তক স্থাপন করলো।



...


Post a Comment

0 Comments