এমসিকিউ
ক, খ, গ অথবা ঘ হয়ে বসে থাকো পাশাপাশি বৃত্তে।
কলম থেকে নেমে এসে
পাকে পাকে ঘিরে ধরে নিপুণ অন্ধকার
অদৃশ্য হয়ে যাও যে-কোনো অপশনে...
পরীক্ষা দিয়ে বের হয়ে ভাবি-
কত কালো টিপ পরিয়ে এলাম প্রেমিকার কপালে।
কঙ্কাল
কত যন্ত্রণা নিয়ে মৃত্যু হয়েছে!
কবরের মাটি খেয়ে ফেলেছে শরীর।
চোখের কোটরে অন্ধকার জমতে জমতে ক্ষত হলেও
হাসতে থাকে, হাসতেই থাকে—
চিরকাল অকপট হাসি হাসে কঙ্কাল।
প্রবৃত্তি
চায়ের স্টলে বসে ঘটকের ঘটকালি
বেড়ে গেছে সকাল সকাল
তেইশোর্ধ্ব সুন্দরীর সচিত্র জীবনবৃত্তান্ত
হাতে হাতে চালান হতে হতে
ফিরে আসে ঘটকের হাতে।
লিকারে গরম হয়ে ওঠে যাবতীয় কাপ
খসে পড়ে পান থেকে চুন।
গুল মুখে পুরে বেঞ্চ বসা বুড়ো মাথা চুলকায়
4R ছবিটার রঙিন শরীরে হাত বোলাতে বোলাতে
খতিয়ে দেখে বলে, ‘হায়রে সময়!’
আম
টিনের চালা বেয়ে এইমাত্র গাঙের জলে পড়ল যে আম
আমি তার নাম জানি না।
শব্দ শুনে ওপারে পাকা জামরঙা জামা পরে যে মেয়ে
কুড়াতে এসেছিল আম—
খুঁজে না পেয়ে চোখ কচলাতে কচলাতে ফিরে চলে গেছে।
সাঁতার জানি না বলে ঢেউতোলা এইসব রঙিন দৃশ্যে
নিরুপায় বসে থাকা।
জলাতঙ্ক আর
খুঁজে না পাওয়ার আক্ষেপ
খড়ের গাদার মতো যুগপৎ জমা হয়ে গেল দুপারে।
না পাওয়ার ব্যথা থেকে নিশ্চয়ই জন্মাবে
দূরে জেগে থাকা কোনও ভেজা বালুচরে
নতুন দৃশ্য নিয়ে একটি ফলদ বৃক্ষ।
গন্ধ
মাছি ভনভন করছে
মরা মনের গন্ধ পেয়েছে বোধহয়।
0 Comments