জনগণের অক্ষর
যদি অনুমতি দেওয়া হয়,
আমরা একসাথে যেতে পারি
যদিও ভিড় ছিল না তবে বিলম্ব!
শহরটি আজ ঘুমিয়ে আছে
আকাশে মেঘ ছিল
ডিম জাগ্রত হয় না
শেষ প্রহরের অপেক্ষায়
১জন ভিক্ষুক! আর
বরফ কখনই গলে যাবে না
এই জ্বর যত বাড়ুক না কেন
১বিন্দু মাথা থেকে গলবে না
যদিও এই শব্দগুলির ভিড়ে বেল
মাথায় পড়বে না
তবুও অসংখ্য গলা কাটা দেহ সেই পথে হাঁটছে ...
ছায়া
বাঁশি আঁকতেই কান্নায় ভেসে ওঠে নৌকা
মাঝি নেই চরাচরে
যতদূর উধাও আকাশ
বিবমিষা বিষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে
অনেকটা যেতে হবে কথা ছিল এমন
বাঁশি ও নৌকা ভুলে ছিল ওরা সৈন্য নয়
কিংবা এগুলো হয়তো স্বপ্ন ছিল
যেটা রং তুলিরও মনেই ছিল না
টাইম মেশিন
ব্যাটারিটা উল্টে দিতেই
ঘড়ি পিছনে ছুটছিল
তাই বুঝি পাকাচুলে
আবার লেগেছে রং
এ-রং অন্য চোখে
অন্য ভাবে আঁকা ক্যানভাস
তুলির শরীরে রোমাঞ্চিত
ভেসে আসে পাখিমন
অজস্র বাবলা কাঁটা
মলম মেখে হয়েছে নরম
বুকে না বিঁধলে জানা যায় না
এসব অখণ্ড মধুর প্রতারণা...
খেয়াল তন্তু
বরফ। তুলো। শুভ্র। হাওয়া। পাখি। নোকা। বায়ুযান। কাগজ। ধূলো। সব ভাসমান ~
তরঙ্গের খেলা। খেলোয়াড় নেই।
শূন্য মাধ্যমে রেখেছে চেয়ার।
আরও বিলাসবহুল টেবিল। বিবিধ আয়োজন। সাজানো। গোছানো। আবার অগোছালো
বেসামাল ~
হরেক মাল বিক্রি হচ্ছে ১০টাকায় /২০টাকায় /৩০টাকায়/
নগন্য। নগ্নতা। নগ্নভাবে। নগ্নক। সুদৃশ্যে। সুদসহ। দৃষ্টিদান।
আলনায় তোলা স্বপ্নের কাছে পুরোনো আচার
জিবে লালা নিঃসরণ ঘটায়~
আমজনতার নিউরনে অনুরণন তোলে ~
প্রত্যহ ডায়েট কন্ট্রোলে আরও হালকা হতে থাকি
তুমিও বেশ স্মার্ট হয়েছো আজকাল
অবশ্য আপনিও আশ্চর্য হয়ে উঠছেন...
কাপ ও অভিমান
চায়ের কাপে ১ম অভিমান কিছুটা উড়ে যেতেই
চুমুক লাগায় ঠোঁট
লিপস্টিক বিহীন আলোয় হালকা গলাব্যাথা
অবনত হয়ে আসে
এমন সময় পর্দায় আঁচড় কাটছে রোদ
চামড়া অনুবাদ করছিল রাগের তীব্রতা
কাপটি ঠান্ডা হতেই
নাতি উষ্ণ অঞ্চল ভ্রমণে উদ্যত হাওয়া মুখ ফেরালেন
কাপটির মন কেমনে কাক-ডাকের শূন্যতা
প্রকরণ ভেঙে নেমে এসেছিল সিঁড়ি
ডানাভাঙা হুইলচেয়ার এই তথ্যচিত্রে মুখ্য ও
একক চরিত্রের রূপান্তর
ফুল ফুটছে দেখে এইমাত্র কয়েকটি নির্জন বাঁশি চেচিয়ে উঠলো ~
©
আমিনুল ইসলাম
বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম বাংলা
সম্পাদিত পত্রিকা-ভুবনডাঙা
2 Comments
খুব ভালো। প্রতিটি কবিতাই ভীষণ সম্পাদিত মনে হলো, শ্রম দিয়ে লেখা কবিতা। আমিনুলদা ♥
ReplyDeleteধন্যবাদ সৌরভ
Delete