শাশ্বত লুব্ধক-এর কবিতা

 

সাইক্লিক অর্ডার


গোলাপী আকাশের সাথে পাল্লা দেয় হৃষ্ট মানুষেরা,

ঘেয়ো কুকুরেরা বালির ওম ছেড়ে ওঠেনি এখনো।

বৈষয়িক ট্রাক ভরে উঠছে আড়তের মৌসুমী ফলে

ওদের গন্তব্য পরান্মুখ বোকা দানব নিজেরাও জানে না।

মুখে পরত চেপে বুক বেঁধে বেরিয়ে যায় রূপোপজীবিনী। 

পলিথিন ভর্তি ক্ষুধা নিয়ে তখন সাটার তোলে আমির হোসেন,

আমরা ভিড় করে সকালের চা চাই অথবা বিস্কুট।

 

এভাবে আরেকটা সূর্যের জন্মের পর 

সবাই ভুলে যায়

প্রত্যেকে নিয়ত আটকে আছে একই ঘূর্ণাবর্তে।

 

অচেনা চণ্ডাল


 চোখ থেকে উবে গ্যাছে পরিচিত দৃশ্যগুলো

চরাচর বিস্তীর্ণ শ্মশান

বাতাসে অদৃশ্য চন্ডাল।

পাথরের মতো কান্না বুকে চেপে বসে আছে

চেয়ে আছে চোখের দিকেচোখ এই দৃশ্য চেনে না।

 

এক-টুকরো কাগজের মাংস আর ডাস্টবিন


 ডাস্টবিনটার দাঁতে একটা ছেঁড়া ঠোঙা আটকে আছে। 

কোনো আবালও এতোটা শো-অফ করে না এটার মতো।

আলগা বাতাসে সে ঠোঙা উড়ায়যেন নিশান।

গম্ভীর অথচ ঝুলন্ত সময়

সূর্য পিঠ টান টান করে দেমাকে থাকে।

ডাস্টবিন ঘামে না

কাগজকে ছায়া দেয় এবং চুমু খায়।

 

হ্যাডমওয়ালা ট্রাক এলাকা কাঁপিয়ে গেলে কদাচিৎ

ডাস্টবিন হাসে; হাসে ছেঁড়া কাগজের ঠোঙাও।

এর কিংবা ওর কারোরই উড়ার হাউশ নেই এতো!

 

আপসাইড ডাউন


 চোর দৌঁড়াচ্ছে পুলিশের পিছনে আর

আমার পেছনে তোমার উন্মুক্ত হাত।

পৃথিবীর জোছনায় চাঁদের ধানখেত ভেসে যাচ্ছে

স্কুলে পড়ানো হচ্ছে—'প্রেম একমাত্র সত্য ধর্ম'

 

আলো জ্বাললে ঘর ঘুরঘুট্টি

নিভালে প্রবল আলোর ফেনা

ইমেজটাএরকম যদি হয়?

কেমন হবে নিরুপমা

 

দুঃস্বপ্নআক্ষরিক তর্জমা


 পায়ে পায়ে সুখ ছেড়ে যাচ্ছে বসতি,

পাঁজরের ভাঁজে কোনো কুঠুরি থাকলে 

পুষে রাখা যেতো অবাধ্য প্রিয়জন।

 

নিতান্ত বেহায়ার মতো উলঙ্গ উরু দেখিয়ে

একে একে বিদায় নেয়া প্রাক্তণদের কল্পনা করে

যৌবনে যে শ্যাওলা জমে গেছে তার প্রতি স্তরে

আমাদের ঐকান্তিক ফসিল খুঁজে পাওয়া যাবে।

 

নিলাজ বীর্য জানে না প্রেমিকার ভেদ

নয়তো আফিমের ঘোরেও নিরামিষাশী হওয়ার মন্ত্র

কেন শিখে নিলো না নিজস্ব ব্যাঘ্র শাবক?

Post a Comment

0 Comments