কিছুটা আশায়
অপারগতার গ্লানির কালো বলপয়েন্ট দিয়ে আজো আঁকি
সোনালী ধানের ক্ষেত, জুঁই সাদা ভাত
আমাদের কখনো এতো বেশি চাওয়ার ছিলো না
আমাদের কখনো এতো কম পাওয়ার কথা ছিলো না
চাওয়া পাওয়ার হিসাবে মেলাতে কত হলো ঈশ্বরের তোয়াজ
আর এদিকে দেখি গাঢ় হয় কবিদের শৌখিন দুঃখ।
জীবনটাকে এখন মায়ের ধূমগন্ধা আঁচল, বাবার ঘামে ভেজা গামছা মনে হয়
মনে কয় হাইকোর্টের সামনের পতাকার স্ট্যান্ডে তাকে টানিয়ে দেই
মিন্টুরোডের অভিজাত বাতাস এসে শুকিয়ে দেয় যদি এই আশে।
কেননা মানুষ বাঁচে কিছুটা স্বপ্নে কিছুটা আশায়
যে ফুল এখনো ফুটেনি, সে তারও গন্ধ পায়।
নামতা
মুখভর্তি চারটা মার্বেল নিয়ে আমি নামতা মুখস্ত করি
জন্মলগ্ন থেকে উচ্চারণে সমস্যা, তোতলামির প্রবলেম
নামতায় আমার ভুল হয়, আমাকে বার বার পড়তে হয়।
মুখভর্তি করে চারটা মার্বেল
ওগুলো সময় সময় পাল্টায় ঠিকই, সংখ্যায় থাকে একই।
আমাদের ’৭১ এর নামতাটা *ঠোঁটস্ত রাখতে হয়
জিডিপি একে জিডিপি, জিডিপি দু’গুণে ফরেন কারেন্সির রিজার্ভ
তিন রিজার্ভে উন্নয়ন, এলডিসি থেকে উত্তরণ- মধ্য আয়ের দেশ।
আমার খালি ভুল হয়।
মুখভর্তি চারটা মার্বেল
ওখান থেকে শালার গণতন্ত্রটাকেই খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে হয়।
ইদানীং মানুষ
মানুষ ততটুকু যায়, যতটুকু তার হৃদয় চায়
শিশুর নরোম গালের মতো
হৃদয়ে দেখো কি নিপূণ ক্ষত!
এ হৃদয় নিয়ে আমি কার কাছে যাই…
গাঙুরের জলে ভেসে ভেসে চলে গেলাম বিম্বিসার অশোকের ধূসর জগতে
সেখানে জীবনানন্দের চোখ খুঁটে খায় ধানশালিক
আর সেলফি তুলে বনলতা সেন।
বস্তুতঃ মানুষ এখন কোথাও যায় না। এরা হৃদয় খায়…
অভ্র আরিফ
জন্ম ও বেড়ে ওঠা কিশোরগঞ্জ জেলার প্রত্যন্ত এক গ্রামে জন্ম। শৈশব ও কৈশোরের রঙ্গীন দিনগুলি ওখানেই কাটানো। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স।
ইমেইল: arif525kj@gmail.com
0 Comments