সেফটিপিনের দোকান
কখনো শাড়ী কিনিনি - ব্লাউজের প্রসঙ্গ এলে
মনে পড়ে যায় সেফটিপিনের দোকান
গলির মুদিওয়ালার মুখ
- তিনি বেশ্যা তুমি সাধু, মাঝখানে আমি শালা মুদির দোকানি
চাল বেচি আবার কনডোমও
অনুমতি ছিলো, অথচ মাঝরাতে সেদিন বড়ো মুখ করে
আমার আর নেড়ে দেখা হলোনা-
জোৎস্নার খামির, মখমল মাখনের চুট
শুধু বললাম -
হ্যাঁরে মালতি, তোর চাঁন কি রাইতেও চায়া থাকে? ঘুমায় না?
কালো পিস্তল
প্রকাশ্যে চুমু খাওয়া অপরাধ নয়
অমার্জনীয় - চুমুকে ঘৃণা করতেন যদি
এবং ঈর্ষা করতেন আপনার নাবালিকা মেয়েদের
সাবালিকা হয়ে ওঠা। এককালে আপনাকেও তো
রেসের মাঠেই দেখতাম-
বাজি ধরতেন কালো পিস্তল , প্রিয়তম ঘোড়া।
শেঁকড়
মনে পড়ে? তোমাদের পুকুর ছিলোনা বলে
গয়নার হাট থেকে বাবাকে পুকুর কিনতে বলেছিলে
একবার বাইচ দেখতে গিয়ে
যে তুমি বাড়ী ই ফিরতে চাওনি
বুঝি। রথের মেলার সেইসব মনোহরি জিনিস
এখন আর টানেনা তোমায়
জংশনের মজমা
কলিম ডাক্তারের ঘর, ওটাও ফুরোনো
আসলে সেদিন খুব জ্বরের ঘোরেই
তুমি তাদের নাম বলেছিলে
আসলে খুব অসুস্থ হলেই-
আমাদের, মনে পড়ে গ্রাম
বারোয়ারি বিড়াল
তোমার গায়ে মূর্তির হাওয়া,আমার মুখে আলোচাল
ক্যারমে আঙুল খেলাচ্ছো খেলাও
এসো চুপচাপ দেখে যাও
বেড়া আর ছাগলের পরকীয়া
কথা হলো এখনো গোল্লায় যাইনি
খোল-করতালের জোগ-জমপেশ কোলাহলে আমার শুধু
মোরগের ক্যাপাসিটি কমে গেছে
বলে মনে হলো, ডিমের দাম বাড়তি
সেদিন, পাড়ার তুফান দা বললো-
'দ্যাখো এটা সুবোধ সুবোধ করে চিল্লানোর সময় নয়
ছাতা বদলাও, গভীর মনোযোগ রাখো -
যে মনোযোগ না থাকলে
ঘর খোলা পেয়ে দুধে মুখ দেবে বারোয়ারি বিড়াল'
আমরা আর চুদনাই হতে চাইনা বস্।
ভাড়ার মডেল
খুব গা গুলাচ্ছে ভাই, খুব পেট কামড়াচ্ছে
নিজেকে ধরে রাখতে পারছিনা,
মনে হয় পাগল হয়ে যাবো
মনে হচ্ছে ল্যাংটা হয়ে উড়িয়ে দেই জামা
সেদিন নিখিলের হাতের দিকে তাকালাম,
লাস্ট কুড়ি বছর -ওর বুড়ো আঙুল চার দফা বিক্রি হয়েছে
ওতে আর আঙুল বলে কিছু নেই
এখন ঘাসে মুখ গুঁজে -
ঘুমন্ত শহীদ মিনার
এখন পকেটে হাত ঢুকিয়ে
একাবোকা স্মৃতিসৌধ
ফুট মার্কেট,পাঁচটাকার কলম,আমি আর আমার মাইহীন প্রেমিকা
মেধাকে সামনা সামনি বাহবা দিতে গিয়ে বুঝলাম
রস-পিপাসু সমঝোতার টেবিলে সে এখন ভাড়ার মডেল।
ধর্মকুটুম
লাইফটা চুদে দিয়ে গেলো, বালের রাজনীতি
- তুমি বললে ,পাপ হলোনা
পাপ হলো কবি তাকে কবিতা কলে পুরলে
ভীষন অশ্রাব্য শোনালো, বললে -ভদ্রোচিত হয়নি
কিন্তু মানুষেরা এতোটা ফুলের মতো হলো কবে?
শরীরে ২ শত ছয় খানা হাড়, পেট-পিঠ,বুকজ্বালা এ্যাসিডিটি
দাদ আছে, উরু আছে, চুলকায়
মানুষ তো মোড়ের স্ট্যাচু নয়
গা কাটলে রক্ত বেরোয় তার
মাল খায়, মাঝরাতে বমি করে
যাকে তুমি মুখ দিয়ে বলছো, সেটা অন্যায় নয়
অন্যায় , কবি তার দু লাইন লিখেছে বলে
ভীষন খারাপ দেখালো, বললে- উচিত হয়নি
তবে বন্ধু, বাজারে আমিও যাই
বাজারে ঢুকলেই টের পাই, সরকার- জনগণ ধর্মকুটুম।
0 Comments