বৃত্তের বৃত্তান্ত || বিবিকা দেব


বৃত্তের বৃত্তান্ত
বিবিকা দেব

বেশ কয়েক দিন যাবৎ একটানা বৃষ্টির মাদল বেজেই চলেছে। হালদার জলে কাদা মিশে এত বেশি ঘোলাটে হয়েছে। হাতে নিয়ে কিছুক্ষণ রাখলে কাদার ফিনফিনে আবরণ দেখা যাবে। পাশাপাশি ডোবা গুলোতে একই অবস্থা। ব্যাঙাচিদের সুবিধা হলো সবাই মিলে এক সাথে সংগীত চর্চা শুরু করেছে। যেন আগামীকাল কোন অডিশন দিতে যাবে। আকাশ থমকে আছে। কারো সাড়া পেলেই হামলে পড়বে অঝোর ধারায়। ততক্ষণে ঝিরিয়ে নিচ্ছে।

ছোট নাতীটা মাছ খাবে বায়না ধরেছে। টিনের অজস্র ফুটো দিয়ে জল গড়িয়ে পড়েছে। তাতে কাদা মিশিয়ে খেলছে। ততক্ষণ ভুলে থাকে মাছের কথা। ঝাঁকি জালের অসংখ্যা ছেঁড়া জোড়া-তালিতে সেলাই করে। আকিজ বিড়ির শেষ টানটা এত বিদঘুটে তেতো মনে হল। গলা অবধি একটা টক ভাব উঠে এলো। তারপর মনে হলো, সকাল থেকে পেটে কিছু পড়েনি। অভাব যেখানে ছেঁকে বসেছে। সেখানে ভাতের হাঁড়িতো দুর্বল থাকবে।

রঙ ক্ষয়ে যাওয়া ছেঁড়া লুঙ্গিটা মালকোঁচা দিয়ে হাটু পর্যন্ত তুলে দেয়। শীর্ণ হাটু দুটোতে হাত বুলিয়ে নেয়। রগ ও কেমন ফুলে উঠেছে। পশমগুলো রুক্ষ মলিন খসখসে। চামড়াটা কুচকে যাচ্ছে। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি অভিরাম পড়তে থাকে। হালদা নদীর কোল ঘেষে বাস্তুভিটে। রাতের বেলায় হালদার চাপা গর্জন শোনা যায়। বড় অভিমান হয়েছে হালদা নদী। ছেলেবেলায় কতই  হালদার বুকে ভরা জোয়ারে এপার থেকে ওপারে সাঁতার কেটেছে। ফাল্পুন চৈত্র মাসে যখন হাটু জল থাকে। তখন হাটতে বেশ ভালো লাগে। কোন একপাশে বালির চর জেগে উঠতো নদীর। লালচে বালিতে বিকেলের সূর্যটা ঝিকিমিকি করতো। সাথে বাতাসের দোলে ছোট ছোট ঢেউ। পায়ের ফাঁকে পালাতো ছোট কোন দুরন্ত মাছ। শামুকের ও দেখা মিলতো। কোন বাঁকে দেখা হতো শীতের অতিথি পাখি বালি হাঁসের। একবার এক মৌসুমে একটা বালিহাঁস দলচ্যুত হয়ে দু’চারদিন হালদার নদীতে একা কাটিয়েছে। পরে কিভাবে দলে ফিরে গেছে জানা যায়নি।

নদীর দুপাশে সবুজ গাছপালা, কাশফুল ও আবাদী জমিতে ভরপুর। মানুষ এখন সব উজাড় করে দিচ্ছে। দীর্ঘ নিঃশ^াস ছেড়ে একটু হালকা হতেই হাতের ঝাঁকি জাল দিয়ে খেপ মারে হালদার ঘোলা জলে। হাতে বেঁধে থাকা রশি ধীরে ধীরে টানতে থাকে। ভাবলো আর মানুষের কল্যাণ। কিছু সুবিধা লোভী মানুষ বালি উত্তোলনের ড্রেজার বসিয়ে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন সেই মেশিনের শব্দ। সকালবেলা ট্রাকে করে বালির চালান হয়। ইট পাথরের শহরে। মানুষের অবক্ষয়ের কারণে দিনদিন নদীর নব্যতা হারিয়ে ফেলেছে। তাই নদী হয়ে উঠেছে ভয়ানক। এপার ওপার পার হতে গিয়ে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।

হঠাৎ মনটা আকু পাকু করে। কি যেন বাকী পড়ে আছে। এসব উজান ভাটি জীবনের কথা ভাবতে ভাবতে ভুলেছে বিড়ির কথা। লুঙ্গির কোচড় থেকে আকিজ বিড়ি ও দিয়াশলাই বের করে। ভেজা হাতে কয়েকবার চেষ্টায় বিড়িতে আগুন দিয়ে লম্বা একটা টান দেয়। কয়েক টান দেয়ার পর মাথাটা একটু হালকা লাগছে। জালে মাছও ভালো উঠে না। কয়েকটা বেলে, পুঁটি ও কুচোচিংড়ি সাথে লাল কাঁকড়া। তেমন কিছুই পেল না। বেশ কয়েক ঘন্টা পর আধা কেজির মতো হবে মাছ পেয়েছে সব মিলিয়ে। হাটু জল থেকে উঠে । জালটা ভালো করে খড়কুটো পরিষ্কার করতে গিয়ে দেখে, হাটুর উপরিভাগে পিচ্ছিল কোন কিছু লেগে আছে। ছেঁড়া লুঙ্গিটা আলগা করে দেখে ছোট চিকন একটা জোঁক। রক্ত চুষে পেট ভরে নিচ্ছে। অবাক হলো না। ডান হাত দিয়ে জোরে একটা টান দিয়ে ছুড়ে দেয় ঘোলা জলে। প্রবল স্রোত ও জলের কুণ্ডলীতে মিশে যায়। ঘোলা জলে পায়ের কাদা ধুয়ে বাড়ীর পথে এগোয়। ছোট নাতীটাকে মাছ দিয়ে ভাত খাওয়াবে। বড় মাছ পেল না। ছোট মাছ দিয়ে বড় মাছের স্বাদ নেবে। পৃথিবীতে দুর্বলদের থেকে সমাজের উঁচু স্তরের মানুষ, নানান ভাবে জোঁকের মতো ঘাম ঝরা পরিশ্রমের রক্ত চুষে নিচ্ছে। তা কয় জনে দেখে। দেখার কেউ নেই। সবাই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত।

হাতে ধরা বিড়িটার শেষ টান দিতেই, সেই তেতো ভাবটা পেট অবধি উগড়ে আসে। আকাশের অবস্থা মোটেও ভালো নয়। একটু দম নিয়ে ঝাপিয়ে বৃষ্টি হবে। তার আগে অন্তত বাড়ী ফিরতে হবে। থাকবেই বা আর কতদিন জানে না। হয়তো এই বর্ষাতে ভিটেই কেড়ে নেবে অভিমানী হালদা।

বাড়ী ফিরে বউমার হাতে মাছগুলো দিল। তাড়াতাড়ি রান্না করে ছোট নাতী পলাশকে আগে খেতে দিও। ছোট মাছ দিয়ে ভাত খাবে বলে কয়েক দিন যাবত হাপিয়ে উঠেছে। স্নানটা সেরে রঙ ক্ষয়ে যাওয়া গামছা পরে আছে। বউমা মাছগুলো কুটে। নাতীটা চোখ বড় করে তা দেখে। জীবনের রদ বদল অনেক হয়েছে। তাই ভাবছে রুদ্রশংকর। লেখাপড়া বেশী শেখেনি।

বাপ দাদার রেখে যাওয়া হাতের কাজটা করতে মন চাইতো না। তবু মাঝে মাঝে বাবার কাজে সাহায্য করতো। বাবা চেয়ে ছিলো এই শিল্পকে ভালোবেসে আমার মধ্যে যাতে ধারণ করি। কিন্তু আমি বাবার মতো হয়ে উঠতে পারিনি। এদিকে সময় যে গড়িয়ে যাচ্ছে। আমার সেদিকে কোন খেয়াল নেই। বাবার কিছু জমি ছিল। চাষের যে ফসল হতো তাতে টেনে কোন রকম সংসার চলতো। মা-বাবার পছন্দ মতো মেয়ে দেখে ছেলের বিয়ে দিল। যাতে ছেলের মন সংসারের দিকে থাকে। তাতে অবশ্যই কিছুটা সফল হয় মা-বাবা। এখন ঘরে নতুন বউ। বয়স্ক মা-বাবার সংসারের হাল ধরতে হবে।

রুদ্রশংকর বাবার প্রত্যেকটা কাজ খুব মন দিয়ে করে। জমি চাষের ক্ষেত্রেই বেশী মনযোগী। জমির ফসল আগের তুলনায় বেশী হয়েছে। শুধু নিজের বিবাহীত জীবনে কোন ফসল হয়নি! অনেক রকম প্রচেষ্টা করেছে। ডাক্তার, কবিরাজ, তাবিজ কবজ, পানিপড়া, তেলপড়া পর্যন্ত বাদ পড়েনি। তবু শূণ্য হৃদয় পূর্ণ করতে কেউ এলো না!

কয়েক বছর বাদে বাবা মারা গেছে। পৈতৃক পেশায় নিজেকে জড়িয়ে নিল। কখন সেই সময় গড়িয়ে টের পায়নি। এরপর মা, ছেড়ে চলে গেছে! ঘরটা আরো ফাঁকা হয়ে গেল। আমি তখন দিশেহারা। সারাদিন পরিশ্রমের পর আর বাড়ী ফিরতে ইচ্ছে হতো না। তবু রোজকার মতো বাড়ী ফিরি আমার অপেক্ষা প্রতিমা বসে আছে। তার তো কোন দোষ নেই। হয়তো ঈশ^র চেয়ে ছিলো আমরা নিঃসন্তান থাকি!

সুখে দুঃখে কোন রকম দিন কেটে যাচ্ছে। হঠাৎ একদিন প্রতিমা তার ভাইয়ের বড় ছেলেকে নিয়ে আসে। বয়স আর কতো হবে পাঁচ কিংবা ছয়। নাম সুদীপ। দেখতে ফর্সা। আমাকে পিসেবাবু ডাকতো আর প্রতিমাকে পিসিমা বলতো। সময়ের সাথে সুদীপ বড় হচ্ছে। এ জন্মে কোন দিন আমি আর প্রতিমা, মা কিংবা বাবা ডাক শুনতে পাবো না। দীর্ঘ নিঃশ^াস বুক থেকে গোপনে বেরিয়ে যায়। অতীতের এই ভাবনা চিন্তার গোলক ধাঁধায় কখন চোখ দুটো বন্ধ করে বসে ঝিমোচ্ছে টের পায়নি। হঠাৎ পলাশের ডাকে ঘুম চোখে দেখি ডাকছে ভাত খাওয়ার জন্য। গরম ভাতের সাথে ছোট মাছের পাতলা ঝোলের তরকারি। অনেক দিন পর তৃপ্তি সহকারে পেট ভরে খেলাম। আরেকটা বিড়িতে ছোট ছোট টানে সুখের অনুভূতি হচ্ছে। সুখ কাকে বলে কখনো বুঝে উঠতে পারেনি। দুটো ভালো খেয়ে লম্বা ঘুম হলে, সাথে বিড়ির নিবিষ্টতা নিজেকে সুখি মনে হয়।

সবুজ চারা গাছের মতো সুদীপের বাড়ন্ত শরীর। অল্প বয়সে অনেক লম্বা হলো। কোঁকড়া মাথার চুল। আমি আর প্রতিমার শূণ্য ঘরে সুদীপের আলোয় আলোকিত। আলোয় বিপরীত ছায়া শূণ্যতা আরো দ্বিগুন কষ্ট বাড়িয়ে দেয়। অতি আদরে সুদীপের লেখাপড়ায় হাতেখড়ি বেশি এগোতে পারিনি। তবুও কাজ জুটিয়ে ফেলেছে। জাহাজের চাকরী। পণ্যবাহী জাহাজের হিসেব নিকেসের কাজ। চাকরী মোটামুটি ভালো। ভালো মাইনে পায়। সচ্ছল পরিবার থেকে সুদীপের জন্য সুন্দরী বউ ঘরে এলো। বেশ হাসি খুশীতে প্রতিটা দিন আনন্দে কাটছে।

সুদীপের চাকরির মাইনে পাওয়া টাকার সংসারের খরচ অনায়সে চলে যায়। বছর ফিরতেই নাতীর মুখ দেখে। নাতীর কচি মুখের আদলে নিজের বয়ে চলা কষ্টের দহনটা নিমেষেই শীতল হয়। সুদীপের আসা যাওয়া বেড়েই গেল। একেই বলে সংসারের প্রতি মায়া মমতা ভালোবাসা আরো গাঢ় হতে থাকে। নিজের হাহাকারটা বিলীন হতে থাকে। ছোট নাতীর হামাগুড়িতে। নাতীর যখন একটু একটু মুখে বোল ফুটে। তখনি হঠাৎ একদিন বিপত্তি ঘটলো প্রতিমার চলে যাওয়া। যার গায়ের ঘ্রাণে সংসার জীবন কাটলো এত বছর। সেই অর্ধাঙ্গিনীর হারিয়ে গেছে। সেটা মন থেকে কিছুতেই মেনে নিতে পারিনি।

নিয়তির চাকাতে বেঁধে দিলাম নিজের জীবন। জানি না কোথায় গিয়ে থামে অসমাপ্ত অধ্যায়। নিজের সন্তান ও প্রতিমা বিহীন জগৎ যেন অচল। তবুও বেঁচে আছি। ঈশ^র যে এখনো বাঁচিয়ে রেখেছে কেন জানি না। প্রতিমার আগে আমার তো যাবার কথা। তাহলে প্রতিমা কেন আমাকে দিনের আলোতে ফাঁকি দিয়ে চলে গেল।

ভাবনার গাড়িতে বসে বয়সটা দ্রুত বেড়ে গেল। চিরুনি তল্লাশি করে মনে হয় মাথায় একটাও কালো চুল নেই। সবই শাদা চুলের বসবাস। শরীরে চামড়াটা ঢিলে হয়ে যাচ্ছে। এখন আর সোজা হয়ে হাটতে পারে না। কুজো হয়ে হাটতে হয়। শরীরের ঝুলে থাকা চামড়ার নিচে, জীবনের প্রতিমুহুর্তের ব্যর্থতা লুকিয়ে আছে। অলস অবসরে যখন অন্ধকার গাঢ় থাকে, তখন কষ্টগুলোকে আলতো ছুয়ে দেখি। একাগ্রমনে ভাবি। কষ্টরা ফিকে হতে থাকে। যখন সুদীপের এবাড়ীতে আসা যাওয়া কমে যায়। ভাবলাম ছেলেটার হয়তো কাজের চাপ বেড়ে গেছে। তাই বাড়ীতে আসার সময় নেই। কিন্তু নিয়মিত ফোনে যোগাযোগ রাখে। এক সময় ধীরে ধীরে কমে যেতে থাকে ফোনে কথা বলা। সুদীপের হঠাৎ বদলে যাওয়ার কারণ হাজারো প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে থাকে।

বছরের পরবর্তী মাস গুলো কাটে খুবই দারিদ্রে। বউমা অন্যের বাড়ীতে ঝি এর কাজ করে। বাসী এঁটো যা পায়, তা আমাদের জীবনি শক্তি। বেঁচে থাকার জন্য সুপেয় খাদ্য। বউমার মলিন শাড়িতে ক্ষয়ে যাওয়া ছেঁড়ার ফাঁকে সুখগুলো উড়ে যায়। রুদ্রশংকর অথর্ব হয়ে পড়ে আছে। কোন কাজ করতে পারে না। দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে যায়। চোখের জল নেই। শুকিয়ে কাঠ হয়ে আছে চোখের নদী। প্রতিমা আগে মরে গিয়ে ভালোই করেছে। এই দুর্দিনে বেঁচে থাকলে খুবই দুঃখ পেত। যাকে ভরসা করে এখনোও অবধি আছে। সেই সুদীপের কোন পাত্তাই নেই। ছেলেটা এমন কেন করলো। ঈশ্বর ছাড়া কেউ জানে না।

চৈত্রের একদিন দুপুরে হঠাৎ সুদীপের খোঁজে একটা মহিলা আসে। উৎসুক গ্রামের মানুষ কান পাতে। ফিসফিসানিও বাড়ে। কোন রঙ বেরঙের খবর খোঁজে। রুদ্রশংকরের মনে এতোদিনের জমানো প্রশ্নের উত্তর নিমেষেই পেয়ে গেছে। এই জন্যই সুদীপের এত অর্ধপতন। বাড়ীতে সুন্দরী। সুলক্ষণা স্ত্রী থাকতে অন্য মেয়ে মানুষের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছে। তাইতো স্ত্রী আর বাচ্চার কোন খোঁজ রাখে না। আমার কথাতো বাদ দিলাম। ছা-পোষা মানুষ কার খোঁজ রাখে ? আচ্ছা সুদীপ এ রকম করলো কেন ? ছোট্ট বেলা থেকে শিষ্টাচার সম্পর্কে শেখানো হয়েছে। তবুও বাঁকা পথে পা দিয়েছে কেন ? জানে না।

নিয়তির যে দিকনির্দেশনা আছে সেই পথে এগোচ্ছে। কিন্তু কোথাও যেন একটা বিশাল শূন্যতা অনুভব করে। পরক্ষণে স্মরণে আসে সাথে একটা ফিকে হাসি। সেটা হচ্ছে রুদ্রশংকরের ঔরসজাত সন্তান। বাবা না হওয়ার যেই যন্ত্রনা! প্রতিটা মুহুর্তে একটা অভাবগ্রস্থ থাকে। তখন খুব কষ্ট পেতে থাকে। নীরবে জোনাকীর বিন্দু বিন্দু আলোয় নিজেকে লুকিয়ে রাখে। হালদার স্বচ্ছ জলে নিঃশব্দে ভাসিয়ে দেয়। ফিরে যায় শৈশবের নৌকা পাড়িতে। এক সাথে নৌকা পাড়ি দিয়েছে। শুধু রুদ্রশংকর হেরে গেল! বেঁচে থাকার স্বাদ সচ্ছন্দ, উচ্ছাস জীবনের প্রতি বাঁকে হারিয়ে ফেলেছে। পড়ে আছে শুধু নিঃশ্বাস। সেই নিঃশ্বাস যদি ত্যাগ করে, নেই কোন পিছু টান! নেই কোন অটুট বন্ধন!



বিবিকা দেব
হাটহাজারি, চট্টগ্রাম

Post a Comment

0 Comments