![]() |
ছবিঃশব্দমিছিল |
মারুফ আহমেদ নয়ন
পিতামহ যে ভয়টি করতেন
তোমাকে ভুলে যাব
তোমাকে ভুলে যাবো। দূরে কোথাও পালিয়ে যাবো। অথচ আশ্চর্যজনক ভাবে পৃথিবীর সমস্ত পথ তোমার পায়ের কাছে এসে থেমে গেছে। আমি একটি সূর্য গোলক হাতে নিয়ে নির্ণয় করি আমার মানব ছায়ার দৈর্ঘ্য প্রস্থ। এভাবেই ক্ষয় করে ফেলি সমস্ত দিন। মরুকরণের দিকে ধাবিত মন, রাত্রি জুড়ে নামিয়ে দেয় গভীর শীতকাল। শুয়ে থাকি ভেজা ঘাসের গালিচায়, আমার দু-চোখ ভরা তোমাকে দেখার ক্লান্তি। শরীর যেনো অসুখের আঁতুড়ঘর। জীবন ঝুলে আছে নার্সিং হোমের জানালায়, এমন একটি জীবনকে তুমি কি করে উপেক্ষা করো। দেখো, তোমাকে হারানোর সম্ভাবনা সমূহ ফুল হয়ে ঝরে যায়।
ইতর
অন্ধকার তোমার ভাষা
রাত্রী মোমের মতো গলে যাবে। এক অন্ধ রমণী থালায় ধরে রাখবে চাঁদ। আমি তাকে আলো বিষয়ক স্বচ্ছ ধারণা দেবো। আলো এক ভ্রান্ত ধারণা, আমাকে ধরে রেখেছিলো কাচের ভেতর। তাপর সূর্য নিভে গেলে দিনযাপনের সমস্ত ক্লান্তি স্থাপন করে দেবে আকাশে। যেনো একশ কোটি বছর পূর্বের জোস্নার রাত ফিরছে একটা মানুষজন্মেই এমন রাত পাওয়া যায়। তুমি আমার দিকে তাকিয়ে আছো। ফুলেরা মরে যাচ্ছে। পিপীলিকারা খাদ্য সংগ্রহ করে ঘরে ফিরে যাচ্ছে। আমাদের কোন তাড়া নেই। কোথাও যাবার নেই।
পিতামহ যে ভয়টি করতেন
শস্যের প্রেমে পড়লে মানুষ সঞ্চয়ী হয়ে ওঠে, অথচ আমি দু-হাতে খরচ করে ফেলি সমস্ত সঞ্চয়। পিতামহের ভয় হয় তিনি আমাকে উপদেশ দেন, খাদ্য ও অর্থ সমান ভাবে সঞ্চয় করো। যদি দূর্যোগের দিন ফিরে আসে তবে এসবের প্রয়োজন হবে। আমি মদ পান করি। রুটি ও মাংসের স্বাদ সমান ভাবে গ্রহণ করি। আমি আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকি, আমি কি মেঘ হতে চেয়েছিলাম। দেখো পাখিদের মতো উড়াউড়ি করি। মৌমাছিদের গুঞ্জন শুনি। তাদের জিজ্ঞাসা করি রিপভ্যান উইংকিল কি এখনো ঘুমিয়ে আছেন।
তোমাকে ভুলে যাব
তোমাকে ভুলে যাবো। দূরে কোথাও পালিয়ে যাবো। অথচ আশ্চর্যজনক ভাবে পৃথিবীর সমস্ত পথ তোমার পায়ের কাছে এসে থেমে গেছে। আমি একটি সূর্য গোলক হাতে নিয়ে নির্ণয় করি আমার মানব ছায়ার দৈর্ঘ্য প্রস্থ। এভাবেই ক্ষয় করে ফেলি সমস্ত দিন। মরুকরণের দিকে ধাবিত মন, রাত্রি জুড়ে নামিয়ে দেয় গভীর শীতকাল। শুয়ে থাকি ভেজা ঘাসের গালিচায়, আমার দু-চোখ ভরা তোমাকে দেখার ক্লান্তি। শরীর যেনো অসুখের আঁতুড়ঘর। জীবন ঝুলে আছে নার্সিং হোমের জানালায়, এমন একটি জীবনকে তুমি কি করে উপেক্ষা করো। দেখো, তোমাকে হারানোর সম্ভাবনা সমূহ ফুল হয়ে ঝরে যায়।
ইতর
আমি কেনো ইতরের মতো তোমার কাছে যাই, গা ঘেঁষে পড়ে থাকি। ভিক্ষুকের মতো বিনয়ী হয়ে কামনা করি ভালবাসা। তুমি ভরা মজলিশে অপমান করো, গলা ধাক্কা দিতে চাও। আমি কিছু বলি না, মন খারাপ হলে আমি হাত দেখি, হাতের বিচ্যুত রেখা গণনা করি। মধ্যমা ও কনিষ্ঠা আঙ্গুলের সাথে পরিচয় ঘটানোর চেষ্টা করি। তুমি পূর্বে যেতে বললে আমি উত্তরে যাই। আমি বহুকাল নরকের যাবার পথ ভুল করে তোমার কাছে আসি। কি এমন অপরাধ তোমার কাছে, ভেঙ্গে চূর্ণ বিচূর্ণ হবো একবারও ভালবাসি বলবে না।
তুমি
তোমার কাছে আমার অনেক ঋণ। অনেক শীত কুয়াশার রাত্রি উপেক্ষা করে তোমার কাছে এসেছি। উত্তরের মৃদু হাওয়ায় তেল শূণ্য মাটির প্রদীপে যেভাবে বেজে ওঠে মৃত্যুর ঘন্টাধ্বনি। সেভাবে তোমার কাছে যেতে পারিনি। নিজের পাতানো ফাঁদে মাথা কেটে ফেলি। মাথা শূণ্য দেহকে বলি এখন মধ্যরাত, তার দিকে এভাবে হেঁটে যেও না, তোমার ভয়ংকর চেহারা দেখে সে ভয় পেতে পারে। তার করুণা জাগতে পারে।
অন্ধকার তোমার ভাষা
রাত্রী মোমের মতো গলে যাবে। এক অন্ধ রমণী থালায় ধরে রাখবে চাঁদ। আমি তাকে আলো বিষয়ক স্বচ্ছ ধারণা দেবো। আলো এক ভ্রান্ত ধারণা, আমাকে ধরে রেখেছিলো কাচের ভেতর। তাপর সূর্য নিভে গেলে দিনযাপনের সমস্ত ক্লান্তি স্থাপন করে দেবে আকাশে। যেনো একশ কোটি বছর পূর্বের জোস্নার রাত ফিরছে একটা মানুষজন্মেই এমন রাত পাওয়া যায়। তুমি আমার দিকে তাকিয়ে আছো। ফুলেরা মরে যাচ্ছে। পিপীলিকারা খাদ্য সংগ্রহ করে ঘরে ফিরে যাচ্ছে। আমাদের কোন তাড়া নেই। কোথাও যাবার নেই।
0 Comments