![]() |
কভারঃ সাকিব শাকিল |
ডানার বেদনায় ক্লান্ত আকাশ || জাকারিয়া প্রীণন
ব্লু
.
বাতাসের ব্লু-থীম গেয়ে উঠে
যে সকল নারীর শরীরে
সমস্ত দুপুরে এঁকে রাখি
পরিখা তাদের---
যেনো
আদিম প্যান্ডোরায় বাঁধা স্মৃতি
ঝুলে আছে আপেল শরীরে;
এমন সব ছবির ভেতর
লুকিয়ে থাকে
বিরহ;
প্রেম
আর
বুকের কাছে ফুটতে থাকে ব্যথা;
খুব ধীরে
যেন কথারা ডানা ফেলেছে বাতাসে
অথচ
শরীরে তোমার আদিম পাখির গন্ধ
বেজে উঠে রোজ---
গাছের লিরিকে--- গাঙের ঢেউয়ে।
ক্যামোফ্লেজ
আমি যে আকাশ দেখি; তার রসালো দুইটা চাঁদ---
আমারে ডেকে নেয় গিরিখাদে; আমার সমস্ত
পাপের সাথে--- আমি শিশুর মতো খেলি, এবং মধু খাই।
এবং শেষ করে বুঝতে পারি; ডানার বেদনা কেন আকাশকে ক্লান্ত করে দেয়।
আইরিন
মানুষ এগুচ্ছে
অল্কানগরের দিকে ধূলি-ঘোড়ায়
উড়ছে হাওয়া; বাতাসে বাতাসে তুমি
পাখি
ডানা ফেল
জীবনে
মরণে
আইরিন আলোর দূরত্বে।
সন্ধ্যাপাড়ে তুকমা দানার মতো বাড়ছে রোদ;
যেন
পাঁকা তুতফল সমূহ বৃক্ষের ডালে
জীবন দেখো
তোমার শাড়ির আলোয়;
ধানপাড়ে বিছানো ঘাস;
অথবা প্রেমহীন জীবন
নিয়ত যে মরে যায় তাঁর রাক্ষস চোখে।
মরণ দেখো
তার কিশরী শরীর;
পাখির ডাকের মতো সুন্দর যেন
ফুলের পরাগে আরেকটি জীবনের ঘ্রাণ;
মাতাল হয়ে ডাকছে হে দূর পরবাসী...
চা
.
ঝিমিয়ে পড়া দুপুরের রঙে
ঝাউপাতায় বিঁধে আছে অপরাহ্ন ব্রুচ;
জীবন একটি রঙীন পুতুলের মতো---
খেলতে খেলতে ভেঙে পড়ে;
ভাঁজ পড়া চামড়ার ফাঁকে।
তবু মরণের দূরত্বে তুমি স্মৃতি;
একটি মিডলক্লাস চায়ের দোকানে---
তোমার উচ্ছন্ন দুটি চোখ সমুদ্র;
যেন
ঢেউয়ের রঙে ভেঙে পরছে সমূহ সুন্দর নিয়ে
আর
দারুচিনী দ্বীপের মতো পেতে আছো ঠোঁট
অথচ
ভ্রমণের দিন নদীর ফেনার রঙে শুকিয়ে যায়
এক পাখি ডাকা ভোরে
ভ্রমে বা বিভ্রমে
উড়ছি এক কাপ চায়ে
পুড়া ঘ্রাণের স্বপ্ন নিয়ে
শুধু
ফড়িংয়ের ডানায় সকাল সুন্দর;
যেভাবে তোমার টিপের মাপে আটকে থাকে
আমার চোখ;
যেন ফুলের কাছে একটি প্রজাপতি সুন্দরের প্রার্থনাই।
দোয়েল
.
বাতাসের সিঁড়ি বেয়ে
উড়ে আসে দোয়েল
বাদামি রঙের ছায়ার দিকে
পাতার কণ্ঠে-উপকণ্ঠে
দ্রোহের বাতাস যেন একটি লাশের উপর
উবুড় হয়ে আছে
শিশির ভেজা সকালের মুখ
.
একটি বাদামি রঙের ছায়ার দিকে
মুখ করে বসে আছেন ঈশ্বর
শুধু পাতাদের কণ্ঠে-উপকণ্ঠে আলোর বিচ্ছুরণ
যেন
আয়নায় মুখদেখে ঈষৎ কণ্ঠে হাসছে ঈশ্বরী
আর নারীরা -
দোয়েলের নামে খুলে দিচ্ছে পাজামার গিঁট...
প্রেম
দোজখে শুয়ে আছে লোকটি, তার হুরদের বিষন্ন শরীর দেখে ফেরেস্তারা কাঁদছে।
পাগল
লোকটা আকাশের দিকে তাকিয়ে ইশ্বরকে মানুষ জন্মের অভিশাপ দিচ্ছে
নদীর কাছে
নদীর কাছে তোমার বাড়ি
নিঝুম দ্বীপের আলো
জলের সাথে আড়ি তোমার
তবু নায়তে কেন নামো
যে জল আমার পাড় ভেঙেছে
মুছে আমার চুম
সে জল কেন এতো মধুর
ভাঙছে তোমার ঘুম
নদীর কাছে তোমার বাড়ি
মেঘের খবর আসে
ঘাস ফড়িংয়ের লাল সিঁদুরে
হরিণধরা গাঁ সে
কলা পাতার বেড়ার ফাঁকে
হলুদ একটা মুখ
নদীর জলো থমলে আছে
দেখছে আরে চুপ
নদীর কাছে তোমার বাড়ি
নিঝুম দ্বীপের আলো
ঘুঙুর পড়া নদীর ঢেউ
হঠাৎ চমকালো
পাপ
কেউ আর আগের মতো থাকে না
যেমন পাখিটি নেই তার ডানার ভেতর;
না আমি,
না তুমি,
কেউ কারো কাছে নেই,
থাকি না কোনো দিন
যেমন; রাস্তা খোঁজে পায় না
একই সকালের ঘুম।
শুনো
দুপুরের আজান কেমন পাল্টে গ্যাছে
আজ নতুন নিয়মে।
অথচ
আমি নির্ভয়ে বলতে পারি
ভালোবাসা থাকে, যেমন;
ঝরার আগে ফুল তার পাপ রেখে যায়।
0 Comments