রুদ্র রাকিবের একগুচ্ছ কবিতা
১.
মিছিল
যদি শ্লোগান থেমে যায়,
ব্রোথেলের চার দেয়ালে আটকে যায় ঈশ্বর,
তবে খুঁজ নিয়ে দেখো
কফিনে মুখ লুকিয়ে আমিও হাঁটছি
মৃতদের মিছিলে।
২.
এইসব আলো আঁধার
যখন
জীবন ঘটিকা থেকে খসে পড়ছিল
একটি যুবতী বিকেল
আমরা তখন মুখ লুকিয়ে ছিলাম চায়ের কাপে,
আচ্ছা আমরা তখন কী পান করছিলাম!
বিকশিত আলো নাকি বিভৎস অন্ধকার?
৩.
লৌকিক ঈশ্বর
চলো, তারচেয়ে বরং সঙ্গম ভুলে গিয়ে-
তেলাওয়াত করি
সেইসব মানুষের কথা,
যাদের রক্তে স্নান করে প্রসবিত হয়
গগণ ছোঁয়া ইমারত।
৪.
স্লেটে লেখা সংবিধান
যেহেতু আমি এক যৎসমান্য মাতাল,
এবং যেহেতু আমি দেশপ্রেমিক নই
সেহেতু
আপনাদের ওই স্লেটে লিখা সাংবিধানের উপর আমাকে আমল আনতে বলবেন না; মহামান্য ।
৫.
ছাব্বিশে মার্চ
মূলত এখান থেকেই জন্ম হয়েছিল
ভারি নিতম্ব আর সুডৌল স্তন যুক্ত
এক ব্রোথেল কন্যার,
যার শ্বাস নালিতে গভীর আক্ষেপে ঝুলে আছে
রক্তাভ কবিতার পংক্তি
এবং বুকের উঠোনে বেড়ে ওঠা সবুজ আঙুর ক্ষ্যাত।
৬.
মুখোশ
বাবারা চেয়েছিলেন আমাদের মানুষ বানাতে,
অথচ আমরা হয়ে উঠেছি নাগরিক মুখোশ।
৭.
ঈশ্বর
কোন এক বয়স্ক শীতের শেষ প্রহরে
আরতির থালা থেকে অগ্নি-স্ফুলিঙ্গ মত
খসে পড়ছিল ঈশ্বর,
যেহেতু সেদিন মন্দিরগুলোতে বাজছিল
"আরতির ঢাক্।
যেহেতু সেদিন মসজিদগুলো থেকে
উচ্চকণ্ঠে ভেসে আসছিল
"আস্সালাতু খাইরুম মিনান্নাওম,
সেহেতু ঈশ্বর খসে পড়ার শব্দ
কারো কর্ণপাত হয়নি।
0 Comments