অবিশুদ্ধ চিন্তার এক কবিতাঅলা
মমিন মানব
কবিতা
মূলত কবির অনুবাদকৃত সত্ত্বা; যা অক্ষরে অক্ষরে
প্রকাশিত হয়। কবি তার স্বপ্ন ছাড়া ভিন্ন কোনো সত্ত্বা নয়। তাই কবিতা গুলো কবির স্বপ্ন-দুঃস্বপ্ন আকঙ্খা-অনাকাঙ্খা প্রেম-অপ্রেম বাঁচা-নাবাঁচা সবকিছুকেই
প্রকাশ করে। একই সাথে নিজেকে চিনতে গিয়ে কবি তখোন প্রশ্ন করে সবকিছুকে। তখোন কবি ধর্মের
ভিতর খুঁজে পায় অর্ধমকে ইতিহাসের ভিতরে খুঁজে পায় মিথ্যাচারকে আইনের ভিতরে খুঁজে
পায় আইনবহির্ভূত ব্যবস্থাকে। তাই সবগুলো বিষয়ে কবি নিজের ভিতরে নতুন এক সঙ্গা ধারণ করে। এবঙ লালনও করে।
কবিতা
তখোন আর আগের মতোন কবিতা থাকে না; হয়ে উঠে অকবিতা
নাকবিতা অথবা অকাব্যিক কবিতা। এর রকম চিন্তার ফলে পাবলো নেরুদা লেখেন তার অবিশুদ্ধ কবিতার
দিকে কবিতাটি। এবঙ এ কারণেরই জীবনানন্দের কবিতা পড়ে রবীন্দ্রনাথ বুঝতে পারে না। বলে, তোমার কবিত্বশক্তি আছে
তাতে সন্দেহ মাত্র নেই। কিন্তু
ভাষা প্রভৃতি নিয়ে এত জবরদস্তি কর কেন
বুঝতে পারিনে। কাব্যের মুদ্রাদোষটা ওস্তাদীকে
পরিহাসিত করে। বড়ো জাতের রচনার মধ্যে
একটা শান্তি আছে। যেখানে তার ব্যাঘাত
দেখি সেখানে স্থায়িত্ব সম্বন্ধে সন্দেহ জন্মে।
জোর দেখানো যে জোরের প্রমাণ তা নয়
বরঞ্চ উল্টো।
কবি
তখোন সমাজে থেকেও অসামাজিক রাজনিতিতে থেকেও অরাজনৈতিক জাতিসত্ত্বার কথা বলেও
অজাতিয়তাবাদি। কবি তখোন বাঙালি হয়েও হয়ে উঠেন চাকমা গারো কিঙবা রাখাইন। বাঙলাদেশের নাগরিক হয়েও হয়ে
উঠেন কুর্দি অথবা প্যালেস্টানিয়ান। রেড গাজা হোয়াইট হাউজ কবিতাপর্ব নিয়ে বলে উঠি:
এতো রক্ত গুয়েতেমালায় ভিয়েতনামে
ইরাকে আফগানিস্তানে পাকিস্তানে লিবিয়ায় সিরিয়ায়...
ছিঃ এই পুছকো গাজায় এসে রক্তের দাগ লাগবে !
কতোটা রক্ত লাগলে লাল হবে?
লাল হবে না, তোর বাল হবে!
টুইন বেবি: ইউনাইটেড স্টাটস এন্ড
ইউনাইটেড ন্যাশন ।তারা হোয়াইট হাউজ খায় হোয়াইট হাউজ মাথায় দেয় হোয়াইট হাউজ খায়
হোয়াইট হাউজ হাগে হোয়াইট হাউজ চোদে । হা হা হা । ইউনাইটেড বাস্টার্ডস !
আঞ্চলিকতা
নিয়েই আন্তর্জাতিকতাবাদ; হেমাঙ্গ বিশ্বাসের
একটা কথাটা আমাকে খুব নাড়া দেয়। আমার সত্ত্বা আমার ঠিকানা আমার ইতিহাস আমার ঐতিহ্য ফেলে
আন্তর্জাতিকতা সম্ভব নয়। নিজেকে জানাটা খুব সহজ কাজ নয়। কারণ ইতোমধ্যে অন্য কারো
মাধ্যমে তুমি পরিচয় প্রাপ্ত। সেই অন্য কারো ইচ্ছা ও দৃষ্টিভঙি দিয়ে সে হয়তো চিনিয়েছে
কিঙবা না চিনেই ধারণাবশত প্রচারণা চালিয়েছে।
অন্যের
লেখা ইতিহাস সাহত্যি কিঙবা পরিচিতি দিয়ে নয়,
নিজেকে
টুকরো টুকরো করে ভেঙে খুঁজে বের করতে হবে,
হু এম
আই! আর সেখান থেকেই খুঁজে পাওয়া
যাবে এই আমার ঠিকানা আমার ইতিহাস অথবা ঐতিহ্য। তখোন দেখা যায় অন্যের দেখানো
পথটা আর আমার পথ থাকে না, ভিন্ন পথের পথিক হয়ে
উঠে সে। এভাবে কবিকে প্রথম তার নিজের পথ খুঁজে নিতে হয় এবঙ নিজের গন্তব্য নিজেই ঠিক
করে নিতে হয়।
1 Comments
মমিন মানব ভাইয়ের গদ্য বলে কথা
ReplyDelete