ঘুৃম
ঝুলন্ত কার্নিশে বসে থাকা কাক
হঠাৎ বাজিয়ে দিল ভোরের ঘণ্টা।
রতি-ক্লান্ত পুরুষের মতো আলুথালু ভাবে তখনও ঘুমিয়ে শহর।
যারা মেঘ দেখে আকাশের
নতুন নতুন নামকরণ করত-- তারাও
ভোলেনি ঘুম।
অনেক, নির্জন ঘুম! পক্ক রাত
সীমান্তরেখা হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে ছাদে।
অনায়াসে যারা কবি হয়ে
গেলো মাল্টিপ্লেক্সের মতো
বৃদ্ধ রাত হাত নেড়ে বলে--
'এই তো সময়!'
গোপাল ভাঁড় মার্কা চেহারাগুলো
হয়ে ওঠে স্বস্তিক!
ঝুলন্ত কার্নিশে বসে থাকা কাক
চেঁচিয়ে জানান দেয়
'ভাঁড়ার শূণ্য হতে আরো ঢের বাকি'।
ফুটপাতে পড়ে আছে পোয়াতি লক্ষ্মীপেঁচার লাশ।
লুডু
ভিক্টোরিয়ার কালো পরীটার মতো নিঃসঙ্গতায়
দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ হয়ে গেলো
প্রকাশ্য রাজসভায়।
পথের কুকুর গলা ছেড়ে গান
ধরে ল্যাংড়া পায়ে লাফাতে লাফাতে।
বর্ষার ব্যাঙ পোয়াতি হলো নতুন জলের কারসাজিতে!
কাগজের নৌকায় সাগর
পাড়ির শখ আমার মুছে গেছে বহুকাল!
গাঢ় কৃত্রিমতার কাছে হার মেনে
আমার অকৃত্রিম চুম্বন
মাটির ঘড়ায় ভ্রুণের জন্ম দিতে হয়েছে ব্যর্থ!
শিব-সন্ন্যাসীর মতো বুবুক্ষায়
কেটেছে যৌবন যার,
তারা প্রজাপতি হতে চেয়েছিল!
ফিরে এটা গুটিপোকা হয়ে।
ঈশ্বর বসে লুডু খেলে একা--
টাচফোন হাতে।
0 Comments