কুমারী ললনারা ঘটা করে বিধবা হয়
শিব চতুর্দশীর দিনগুলিতে।
শালদুধ ছাড়াই বেড়ে ওঠে ওদের পোষ্যপুত্র।
সামাজিক দূরত্বে থেকে চলে অসামাজিক আদিমতা, শব্দের সঙ্গম।
প্রেমের প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণায় আমরা জড়িয়ে পড়ি
এক বুক স্তনের ফাঁদে।
ষড়রিপু ইডিট করে পাস হয় নতুন বাজেট
স্বাস্থ্যসম্মত বৈবাহিক সুখ, দমের সাধনা।
বেদে সর্দারের থাকে না কোনো শূন্যতার গল্প।
ঝাপি খুললেই গায়েবি আওয়াজ ওঠে:
প্রিয়তম, ভালোবাসা নিও, ইতি শাওনিকা।
আশকারা পেলেই ধেয়ে আসে উড়ন্ত চুমু।
শাওনিকা
শাখারু হতে পারিনি বলে দুঃখ করো না।
আজও আমি তোমার নামে সিঁদুর নিয়ে খেলি,
গত জন্মের কলঙ্কের দায়ে প্রেমে পড়ি হৃদয় মেপে।
উপায় বলে যাও
পার্লার মালিকের দর্পণ অসুখের কারবার,
আসুন সম্মানিত অসুখীগণ
সাশ্রয়ী রেটে অসুখ বেঁচি।
টেপ রেকর্ডারে গান ছেড়ে
কতকাল আর ঠোঁট মেলাবে,
তুমি বরং শিল্পী নও শিল্পপতি হও।
"ওতেই কাপড় ওতেই ভাত"।
ও তক্ষকব্বংশী,
ফিরিয়ে নাও তোমার রুপের ছোবল,
কোন জন্মেও আমি সাপুড়ে ছিলাম না।
তুমিও করো চাবি বদলের চর্চা,
বাড়ন্ত সংসারে তোমাকে বেমানান লাগে।
তুমি বরং পাঁচালী ঘরেই থাকো।
আসুন টি স্টলের গবেষকগণ,
আমরা সিগনেচার করি-
'চাঁদের মেয়ে' বনাম 'বেদের মেয়ে' বিষয়ক
দ্বি-পাক্ষিক আলোচনাপত্রে।
ও দরবেশবাবা,
দরকষাকষি না করে
পুরুষের সতীত্ব মাপার উপায় বলে যাও।
বর্ডার
তুলসী তলার প্রদীপে পুড়ে যায় গৃহস্থ সুখ, আটপৌরে সংসার।
কাঁটাতার ছুঁয়ে দেখেছি দেশভাগ বনাম রাষ্ট্রভাগের টুর্নামেন্ট,
হরেন মোড়ল সাপোর্টারস টি-শার্ট ছাড়াই লুফে নিয়েছে দেহ ব্যবসার কলকবজা, পুরানো কেরামতি।
খাস জমির প্রত্যাশায় বীরেন মালো খাসমহলের মালিক বনে যায়।
আঁঁতর ভেজা গতর,
মখমলের সুখ।
ঝাড়খণ্ডে থামেনি ঝাড়বাতি, রোশনাইয়ের মহড়া।
ভূমিপুত্রেরা বেঁচে থাকে দলিল চিবিয়ে।
পালপাড়ার প্রাক্তন প্রেমিকারা স্বয়ম্বর শেষে
পুরুষ বেশ্যার বাহাদুরি খোঁজে,
যারা রাত বেঁচে তৃপ্তির দামে।
আমি প্রেম বেঁচে সতীন কিনি বৌয়ের ছলাকলায়।
অথচ দৃষ্টির আলিঙ্গন চাইলেই
কলিংবেল বর্ডার হয়ে দাঁড়ায় মুখোমুখি।
0 Comments